• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

এএসপি আনিসুল করিমের হত্যার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ

আরটিভি নিউজ

  ১০ নভেম্বর ২০২০, ১২:৫৩
পুলিশ সুপার আনিসুল করিম

রাজধানী আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুর ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় শ্যামলীতে উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, আনিসুল করিমকে যখন চিকিৎসার নামে রুমের ভেতর নেয়া হয়, তখন সেখানে ওয়ার্ডবয় ও ক্লিনার এরকম সাত থেকে আটজন ছিলেন, কোনও ডাক্তার ছিলেন না। তারা তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজে আরও দেখা যায়, সেখানে দশজনের মতো ছিল, আমরা তাদের গ্রেপ্তার করেছি ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মাইন্ড এইড হাসপাতালের কোনও কাগজপত্র নেই, এমনকি কোনও লিস্টেড ডাক্তারও নেই। এই হাসপাতালটি চালানোর জন্য যা দরকার তার কোনও প্রমাণ তারা দেখাতে পারে নাই। এমনকি এরকম হাসপাতাল পরিচালনার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমতির প্রয়োজন থাকলেও সেটিরও কোনও কাজগ তারা দেখাতে পারে নাই।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদে যারা আছেন তারা কেউ মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেন নাই। তারা কীভাবে হাসপাতাল পরিচালনা করছেন এখন সেই প্রশ্নই দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

এএসপি আনিসুল করিমকে হত্যার ঘটনায় মামলা, আটক ১০
যেভাবে হত্যা করা হয় এএসপি আনিসুল করিমকে

গতকাল সোমবার রাজধানী আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপনকে ভর্তির কিছু সময় পরই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, ওই হাসপাতালে ভর্তির পরই সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সেই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে টানাহেঁচড়া করে একটি কক্ষে ঢোকানো হয়। তাকে হাসপাতালের ছয়জন কর্মচারী মিলে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। এরপর নীল পোশাক পরা আরও দুজন কর্মচারী তার পা চেপে ধরেন। এসময় মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারী হাতের কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করছিলেন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুলের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর আনিসুলকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই তার শরীর নিস্তেজ ছিল। একজন কর্মচারী তখন তার মুখে পানি ছিটান। তাতেও আনিসুল করিম নড়াচড়া করছিলেন না। তখন কর্মচারীরা কক্ষের মেঝে পরিষ্কার করেন। সাত মিনিট পর সাদা অ্যাপ্রোন পরা একজন নারী কক্ষে প্রবেশ করেন। ১১ মিনিটের মাথায় কক্ষের দরজা লাগিয়ে দেয়া হয়। ১৩ মিনিটের মাথায় তার বুকে পাম্প করেন, সাদা অ্যাপ্রোন পরা নারী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। সর্বশেষ বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন তিনি। পারিবারিক জটিলতায় কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। রাতে ওই হাসপাতালে গেলে কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরে তার নিজ বাসভবনে আনিসুল করিমকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরে হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু 
বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম হাসপাতালে ভর্তি
শিশু মারা যাওয়ায় চিকিৎসককে আইসিইউতে পাঠালেন স্বজনরা
ঈদ সালামি নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীর কোপে স্বামী হাসপাতালে 
X
Fresh