প্রবাসীদের রেমিটেন্স বেড়েছে
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অধিকাংশ সেক্টরে মন্দভাব দেখা দিলেও ইতিবাচক ধারায় রয়েছে প্রবাসীদের রেমিটেন্স। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৮৮২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত অর্থবছরের একই সময় রেমিটেন্স এসেছিল ৬১৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।
রোববার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংককের তথ্যমতে, জুলাইয়ে ২৬০ কোটি ডলার, অfগাস্টে ১৯৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে আসে ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং সদ্যসমাপ্ত অক্টোবরে ২১১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
চলতি বছরের অক্টোবরে পাঠানো রেমিটেন্সের অর্থ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৭ কোটি ডলার বা ২৮ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। গত বছর অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ২০ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আগামী দিনগুলোতেও এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে। এটা অর্থনীতির জন্য খুবই ভালো। করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলে আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে এই রেমিটেন্স। বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ। দেশের জিডিপিতে এই রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।
বৈধ পথে রেমিটেন্স আনতে সরকার গত অর্থবছর থেকে যে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে, তার প্রভাব এতে পড়েছে বলে মনে করেন অর্ধমন্ত্রী।
ডিসেম্বরের মধ্যেই এই রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারে যাবে। আর ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারও ছাড়াবে বলে আমি প্রত্যাশা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
২০২০ সালে বাংলাদেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সপ্রবাহ বেড়েছে এবং এ বছর প্রবাসী আয় আহরণে বাংলাদেশ অষ্টম অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্বব্যাংক। গত ২৯ অক্টোবর প্রকাশিত ওয়াশিংটনভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় সংস্থার ‘কোভিড-১৯ ক্রাইসিস থ্রু এ মাইগ্রেশন লেন্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
বিশ্বব্যাংকের ধারণা অনুযায়ী, মহামারির প্রাদুর্ভাব সত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশে রেমিটেন্সপ্রবাহ বাড়তে থাকবে। চলতি বছর বাংলাদেশে রেমিটেন্সপ্রবাহ আরও ৮ শতাংশ বাড়বে। বাংলাদেশে চলতি বছর রেমিটেন্স প্রবাহের পরিমাণ দাঁড়াবে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রেমিটেন্সপ্রবাহ চাঙা থাকায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন (রিজার্ভ)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর শেষে দেশে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪১ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩২ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার।
এফএ
মন্তব্য করুন