লালমনিরহাটে পুড়িয়ে হত্যা, তদন্তে মানবাধিকার কমিশন
লালমনিরহাটে ‘ধর্ম অবমাননা’র গুজবে শহিদুন্নবী জুয়েল নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহতের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ২ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আজ শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ আরটিভি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের জন্য কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীরের (জেলা ও দায়রা জজ) সভাপতিত্বে কমিটির অপর সদস্য সচিব হলেন মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ গাজী সালাউদ্দিন। এই কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্তে মানবাধিকার কমিশনের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা জানান, গত ২৯ কক্টোবর গণমাধ্যম লালমনিরহাটের ঘটনাটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে কমিশন ২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিশন মনে করে, ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে ধর্মকে অবমাননা করার অধিকার যেমন কারো নেই, তেমনি আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে হত্যা করার অধিকারও কাউকে দেয়া হয়নি।
নিহত ব্যক্তিটি ভারসাম্যহীন ছিলেন কিনা এবং প্রকৃতপক্ষে ধর্ম অবমাননা করেছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখে আইনের আওতায় বিষয়টি সমাধান করা সমীচীন ছিল মনে করে কমিশন। একটি সভ্য সমাজে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে গণপিটুনি এবং আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে বর্বর হত্যাকাণ্ড মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে পিটিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে মো. সহিদুন্নবী জুয়েল নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে স্থানীয় জনতা। নিহত সহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রি পাড়ার আবু ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। একই ঘটনায় আহত সুলতান জুবায়ের আব্বাসকে (৫১) পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আব্বাস রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়ার শেখ আব্বাস আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
কেএফ
মন্তব্য করুন