• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ইরফানের মামলা যাচ্ছে ডিবিতে, ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রস্তুতি

আরটিভি নিউজ

  ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১৩:৫৩
Haji Selim's son Irfan's case is going to DB
আহত লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ ও হাজী সেলিমের পুত্র ইরফান

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফের উপর হামলার ঘটনায় দাপুটে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুত্র ইরফানের বিরুদ্ধে করা মামলাটি শিগগিরই ধানমন্ডি থানা থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার কথা জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মোহা. কমিশনার শফিকুল ইসলাম। এদিকে ইরফানসহ তার সহযোগীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ।

আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নারী ও শিশুদের দ্রুততম সেবা প্রদানের জন্য ‘কুইক রেসপন্স টিম ও হটলাইন নম্বর’ এর উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করা এবং তার স্ত্রী তখন সাথে ছিলেন, উভয়কে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি ‘নিঃসন্দেহে প্রভাবমুক্তভাবে’ তদন্ত করা হবে। এটি গুরুত্ব দিয়েই আমরা তদন্ত করছি। ইতোমধ্যে মামলার সব আসামিই ধরা পড়েছে। মামলার ২ নম্বর আসামি দীপুকে সবশেষ টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে এসেছে ডিবি। এখন এটির সাক্ষ্য প্রমাণ আমরা সংগ্রহ করছি। দ্রুতই মামলাটির তদন্ত শেষ করে আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি করবো। আমরা এই মামলার ‘ডকেট’ দেখছি। প্রয়োজনে মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশের কাছে স্থানান্তর করবো। এখানে প্রভাব খাটানোর চেষ্টাও কেউ করবে না। একজন অপরাধীকে যেভাবে বিচারের আওতায় আনা দরকার, একইভাবে তাকেও আনা হবে। আসামিদের কে প্রভাবশালী, আর কে প্রভাবশালী নয়, সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা তদন্ত করে দেখবো সে বা তারা অপরাধী কিনা। এক্ষেত্রে কোনো অপরাধীই ছাড় পাবে না।

লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনার মামলায় প্রধান আসামি ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের ৭ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ধানমণ্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজায় ইরফান ও জাহিদ কারাগারে রয়েছেন। তাদের শোন-অ্যারেস্ট দেখিয়ে আদালতের কাছে রিমান্ড চাওয়া হবে। এই মামলায় হাজী সেলিমের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দীপুরও পৃথকভাবে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। এর আগে গতকাল সোমবার এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়- ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ ও গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে। সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইল শহরে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবি সিদ্দিক দীপুকে। এই মামলার আরেক আসামি ইরফানের গাড়িচালক মিজানুরকে গ্রেপ্তারের পর ১ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ

ইরফানের বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন আজই: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

কেএফ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়ে কুলি থেকে কোটিপতি
X
Fresh