এমসি কলেজে গণধর্ষণ: হাইকোর্টে ১৭৬ পৃষ্টার প্রতিবেদন দাখিল
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিন সদস্য কমিটির ১৭৬ পৃষ্টার প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়।
আদালত জানিয়েছেন, আজ বেলা ১১টার দিকে প্রতিবেদনটি এসেছে। ১৭৬ পৃষ্টার প্রতিবেদনটি পুরো দেখার সুযোগ হয়নি। যে কারণে আগামী ১ নভেম্বর শুনানির পরবর্তী দিন রাখেন হাইকোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন গণধর্ষণের ওই ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন গেলো ২৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের নজরে এনে প্রয়োজনীয় আদেশের আরজি জানিয়েছিলেন।
সেদিন শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে রক্ষায় অবহেলা ও অছাত্রদের কলেজে অবস্থানে নীরবতায় অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ, হোস্টেল সুপারসহ বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
হাইকোর্ট তিন সদস্যসের কমিটি গঠন করে দিয়ে ছাত্রাবাসে তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের দায় আছে কি না, তা নিরূপণে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়, সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) ওই কমিটিতে থাকবেন।
কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের রিজিস্টারের মাধ্যমে ওই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী আজ আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলো।
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। গণমাধ্যমের খবর আদালতের নজরে আনা আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন ভার্চুয়াল শুনানিতে যুক্ত ছিলেন।
গেলো ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকা থেকে স্বামীসহ এক তুলে নিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের একদল কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই তরুণীর স্বামী এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
জেবি/ এমকে
মন্তব্য করুন