• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সুরমা থেকে সমুদ্রের উপকূল থামছে না নারীর চোখের জল

আরটিভি নিউজ ডেস্ক

  ০৫ অক্টোবর ২০২০, ১৮:০৭
The tears of women, are not stopping, rtv news
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রবাসে গণধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার এক গৃহবধূকে নির্যাতন করার লোমহর্ষক ঘটনা বেড়িয়ে এসেছে। গতকাল রোববার ওই নারী দুটি মামলা করার পরেই সারাদেশে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে ওই নারীর স্বামীকে বেঁধে রেখে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বখাটেরা। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও তুলে রাখে তারা। পরবর্তীতে ফেসবুকে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ওই গৃহবধূকে বারবার অনৈতিক প্রস্তাব দেয় বখাটেরা। শেষ নাগাত ওই গৃহবধূ বখাটেদের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের এক সদস্য গণমাধ্যমে জানান, ভুক্তভোগী নারী ১৮ বছর আগে বিয়ে হয়। তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় কয়েক বছর আগে তিনি বাবার বাড়ি চলে আসেন। তার এক ছেলে ও মেয়ে আছে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বাড়িতে ওই নারী ছেলে ও এক ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। সম্প্রতি তার স্বামী তার কাছে আসা-যাওয়া করতে শুরু করেন। এ নিয়ে কয়েকজন যুবক আপত্তি জানিয়ে সেদিন ওই নারীকে নির্যাতন করেন। ঘটনার দিন ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গেই ছিলেন। নির্যাতনকারীরা তার স্বামীকেও আটক করে নিয়ে যায়। পরে ওই নারীর ভাই পনেরশো টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। ওই নারীর মা নেই। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই তারা বিষয়টি জানতে পারেন। এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেন। নির্যাতনের শিকার নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন :
মা-মেয়েকে দলবেঁধে ধর্ষণ: দুই যুবকের স্বীকারোক্তি
বড় বোনকে ধর্ষণের তিন বছর পর ছোট বোনকে ধর্ষণ
ভিডিও ধারণ করে দিনের পর দিন ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর সন্তান প্রসব
সিলেটে এক ভাড়াটিয়ার ধর্ষণের শিকার অপর ভাড়াটিয়া গৃহবধূ

এদিকে এ ঘটনার প্রধান আসামি বাদলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাদলকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এছাড়া এই ঘটনায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকেও অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে মো. রহিম (২০) ও রাত ১০টার দিকে রহমত উল্লাহ (৪১) নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। দুই মামলায় সকল আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।

গেলো মাসের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীকে। মামলায় এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ গ্রেপ্তার হওয়া মোট আটজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গেলো শনিবার সন্ধ্যায় খোদ সিলেটের শামীমাবাদ এলাকার চার নম্বর রোডে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে দিলওয়ার ও তার সহযোগী হারুন। তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শহরের শামীমাবাদ এলাকার চার নম্বর রোডে একটি বাসায় স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে বাস করতেন ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ। গেলো শনিবার সন্ধ্যায় বাসার দ্বিতীয় ভাড়াটিয়া দিলওয়ার ও তার সহযোগী কৌশলে ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ওই নারীকে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

লামাবাজার ফাঁড়ি পুলিশ ধর্ষণের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক দিলওয়ার ও তার সহযোগী হারুন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।

লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই কামাল জানিয়েছেন, গৃহবধূকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে দিলওয়ার ও তার সহযোগী হারুন। তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে গেলো ২৯ সেপ্টেম্বর সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়া এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত কিশোর রাকিব হোসেন মিদু মদনমোহন কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেও জানা গেছে।

ধর্ষিত ওই কিশোরীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা আছে। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গেলো ২৯ সেপ্টেম্বর কিশোরীকে ধর্ষণ করে ওই মিদু।

এ ব্যাপারে কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞা বলেন, এ রকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত কিছু এখনও জানি না। এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ইসলামপুরের মধ্য-পাড়া এলাকায় এক বৃদ্ধের লালসার শিকার হয়েছেন কিশোরী দুই বোন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক বৃদ্ধ হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১১ বছরের প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গতকাল রোববার সকালে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে মধ্য-পাড়া এলাকার আতাহার আলীর ছেলে হারুনুর রশিদের (৮০) বিরুদ্ধে। প্রতিবন্ধীর মা বাদী হয়ে নানিয়ারচর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ধর্ষক হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুন :
স্কুলছাত্রীকে নৌকায় তুলে বিলে নিয়ে গণধর্ষণ
বাসায় কেউ না থাকায় শিশুকে একাধিকবার ছাদে নিয়ে ধর্ষণ
বখাটেদের প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না ওই নারী, তাই ভিডিও ছেড়ে দেয়
ধর্ষণ থেকে বাঁচতে মা-বোনদের সঙ্গে ছুরি রাখতে বললেন নুর

ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা জানান, তিন বছর আগে তার বড় মেয়েকে ধর্ষণ করে কৃষক হারুনুর রশিদ। সে সময় হাতেনাতে ধরাও পড়েন তিনি। তখন বড় মেয়ের বয়স ছিল ১০ বছর। সে সময় গ্রাম্য শালিসে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। ধর্ষককে দশ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। সেই একই লোক গত রোববার সকালে বাসায় কেউ নেই জেনে তার ১১ বছরের প্রতিবন্ধী কিশোরীকেও ধর্ষণ করে।

জানা যায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বাক প্রতিবন্ধী, নিজে নিজে খেতে এবং হাঁটাচলাও করতে পারে না। তার মা জানান, ঘটনার পর মেয়েকে প্রথমে নানিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর ইসলাম জানায়, গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলা সদরে একটি অনুষ্ঠানে থাকাবস্থায় মোবাইলে ঘটনার কথা জানতে পারি। খবর নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হই। এরমধ্যে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকেও জানানো হলে তাদের নিয়ে থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করি।

নানিয়ারচর থানার এসআই রওশন জানায়, প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করে।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় কোচিং সেন্টারে আটকে রেখে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারেকুর রহমান নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

গতকাল রোববার এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ নম্বর আদালতে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি আমলে নিয়ে তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগের বিস্তারিত শুনানির পর মামলাটি আমলে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার আদেশ দেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক তারেকুর রহমান চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সম্পর্কে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর খালাতো ভাই।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছুটির পর কোচিং সেন্টারে আটকে রেখে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত শিক্ষক তারেকুর। এ সময় ধর্ষণের ছবি ধারণ করে রাখে সে। পরে এসব ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েকবার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তারেকুর। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।

পরে স্থানীয়রা সালিশের মাধ্যমে ঘটনার মীমাংসার চেষ্টা করে। বিচারে শিক্ষক তারেকুর সন্তান প্রসবের পরে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু সম্প্রতি ভুক্তভোগী সন্তান প্রসব করলে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় তারেকুর।

পরে গতকাল রোববার ভুক্তভোগীর বাবা তারেকুরসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন, তারেকুর রহমানের ভাই তৌফিকুর রহমান, তৌহিদুর রহমান ও রমজান আলী ভূঁইয়া।

জয়পুরহাট পৌর শহরের বুলুপাড়া মহল্লার হাজীপাড়া এলাকায় ১২ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ফারুক হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার দুপুরের দিকে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় রাতে সদর থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

ফারুক হোসেন জয়পুরহাট পৌর এলাকার হাজীপাড়া মহল্লার আদিবাসী হিন্দু সম্প্রদায়ের যমুনা সিং এর ছেলে। কোনও এক সময় ফারুক ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলামধর্ম গ্রহণ করে।

ধর্ষিত শিশুটির নানীর উদ্ধৃতি দিয়ে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার খান জানান, রোববার দুপুরে শিশু কন্যাটিকে ফুসলিয়ে ফারুক তার বাড়ির পাশের আখ ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার সময় শিশুটির আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ফারুক হোসেন পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শিশুটির নানী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান ওসি।

এদিকে নোয়াখালীতে এক গৃহবধূ নির্যাতনসহ সারাদেশে ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনায় বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসহ শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয় বিক্ষোভ করছেন তাঁরা।

বিকেল চারটার দিকে শাহবাগ থেকে লাঠি মিছিল বের করেন বিক্ষোভকারীরা। কাওরান বাজার প্রদক্ষিণ করে এসে ফের শাহবাগে মিলিত হয়। সেখানেই সংহতি সমাবেশ করছেন তারা। সংহতি সমাবেশে বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র-যুব-শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দেখা গেছে।

এর আগে বেলা ১১ টার দিকে ছাত্র ইউনিয়ন ও ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’ এর ডাকে গণ অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় পাশেই ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদেরও বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

বিক্ষোভের কারণে শাহবাগ মোড়ে গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা 'ধর্ষকদের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও', 'মানুষ তুমি চুপ কেন?', ''আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই' বলে স্লোগান দিতে থাকেন। পাশাপাশি চলতে থাকে ধর্ষণবিরোধী পারফরমেন্স আর্ট, কবিতা আবৃত্তি ও মূকাভিনয়।

সারাদেশে ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনায় ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। তিনি তোর স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘ধর্ষণ শব্দটি ভয়ানকভাবে সমাজকে গ্রাস করছে। যে দেশ স্বাধীন হয়েছে মুক্তির জয়গান দিয়ে, সেই দেশে ধর্ষণ নামক কালো অধ্যায় প্রতিদিন রচিত হচ্ছে। স্কুলপড়ুয়া মেয়েটি যখন মাকে জিজ্ঞাস করে ‘মা সকাল হলে ঘর থেকে বের হবো তো’ মায়ের চোখের জল বলে দেয় বাহির তোমার জন্য নিরাপদ নয়!’

তিনি আরও লিখেন, সমাজ বদলাবে এমন আশার বার্তা কবে আসবে? নারী নিরাপদ হবে সভ্য সমাজে কবে? এমন প্রশ্নে যখন সামাজিক মাধ্যমে চলছে আলোচনা, তখন দেশের জনপ্রিয় কবি নির্মলেন্দু গুণ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘ধর্ষণের শেষ পর্ব’ নামে শিরোনামে লেখেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে এইবার মানুষ যেভাবে সোচ্চার হয়েছে, তেমনটি পূর্বে কখনও হয়নি। জাতি এখন ক্রসফায়ারের অপেক্ষায় আছে। মনে হচ্ছে, ধর্ষণকে ‘না’ ও ক্রসফায়ারকে ‘হ্যাঁ’ বলার জন্য বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। মাদকবিরোধী অভিযানে যদি শত শত ক্রসফায়ার চলতে পারে, ধর্ষণবিরোধী অভিযানে কেন নয়? আমরা ধর্ষণের শেষ দেখতে চাই। অনেক সয়েছি, আর নয়।’

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল প্রতিবন্ধী নারীর
নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল
গোপালগঞ্জে বোমা হামলায় বাবা-ছেলে আহত
X
Fresh