দ্বৈত ভোটার
সাবরিনার মামলার প্রতিবেদন ২ নভেম্বর
তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করার অভিযোগে মামলায় ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের এ দিন ধার্য করেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের বরখাস্ত চিকিৎসক সাবরিনার পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী সাইফুজ্জামান (তুহিন)। তবে
জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষে সিএমএম আদালতে বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ডা. সাবরিনার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুনঃ
এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন ওয়াহিদা
ঢাকা ছাড়ছেন রীভা, আসছেন নতুন হাইকমিশনার
এর আগে গত ৩০ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। পরে ৩ সেপ্টেম্বর আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলায় বলা হয়, বর্তমানে ডা. সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি জানার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চায়। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। আর ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও একই শাস্তি হতে পারে।
এ
মন্তব্য করুন