• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

অ্যাটর্নি জেনারেলের সম্মানে আজ বসছে না সুপ্রিম কোর্ট

আরটিভি নিউজ

  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৩৮
The Supreme Court is not sitting today in honor of the Attorney General
সুপ্রিম কোর্ট (ফাইল ছবি)

সদ্যপ্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে তার প্রতি সম্মান জানিয়ে আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে বিচারকাজ পরিচালিত হচ্ছে না। আজ আপিল বিভাগের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা ব্যথিত। অ্যাটর্নি জেনারেলের সম্মানে আজ সুপ্রিম কোর্ট বসছেন না। এ সময় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ অন্যান্য আইনজীবীরা।

গতকাল রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে মাহবুবে আলম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে অ্যাটর্নি জেনারেল জ্বর অনুভব করেন। পরের দিন ৪ সেপ্টেম্বর সকালে করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। একইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে অবস্থার অবনতি হলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মাহবুবে আলম বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। তিনি ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিযুক্ত হন। তিনি এর আগে ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

তিনি ১৯৪৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজংয়ের মৌছামন্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ (অনার্স) এবং পাবলিক প্রশাসনে এমএ পাস করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সংবিধান এবং সংসদীয় গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইসিপিএস) থেকে সাংবিধানিক আইন এবং সংসদীয় প্রতিষ্ঠান এবং পদ্ধতিতে দুটি ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে অনুশীলন শুরু করেন এবং ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হন। ১৯৯৯ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন এবং ২০০৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৫-২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন এই প্রবীণ আইনজীবী।
কেএফ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সুপ্রিম কোর্ট ভবনের ছাদ চুয়ে পানি, বিচারকাজে বিঘ্ন
জামিন পেলেন ব্যারিস্টার কাজল 
যোগগুরু রামদেবকে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের তলব
অ্যাডভোকেট যুথীর জামিন আবেদন শুনতে হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চ
X
Fresh