করোনায় মায়ের হাতে বাচ্চাদের টিকার ব্যবস্থা চান মেয়র তাপস

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে মায়ের হাতেই বাচ্চাদের টিকা খাওয়ানোর ব্যবস্থার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিস) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন’ সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি ওরিয়েন্টেশন সভায় তিনি এ আহ্বান আসে।

এ সময় মেয়র বলেন, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন’ চালানো যেতে পারে। এই কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আর এই টিকাটা শিশুদের দিতে হবে। যারা টিকা খাওয়াবেন, তারা অব্যশ্যই নিজেদের হাত ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন। টিকার জন্য অপেক্ষমানদের অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে টিকা দান কর্মসূচি ইতোমধ্যে ৩ মাস পিছিয়ে গেছে। আমরা ৩ মাস পিছিয়ে গেছি। কিন্তু জন্ম তারিখ অনুযায়ী যেসব বাচ্চার টিকা দেয়া জরুরি হয়েছে, সেই বিবেচনায় আমরা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই কাজ শুরু করছি।

শিশুদের মায়ের দুধ দেয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে তাপস বলেন, ভিটামিন এ দিয়ে দেয়া মানেই মায়েদের দুধ খাওয়ানো লাগবে না এ কথা যেন কেউ মনে না করেন। বাচ্চাদের টিকা দেয়ার সময় এই বার্তাটাও দেবেন যে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধের ওষুধ হিসেবে কাজ করে মায়ের বুকের দুধ। সেটা যেন অন্তত ২ বছর পর্যন্ত খাওয়ানো হয়, সেজন্য মায়েদের উৎসাহিত করবেন। ছোট মাছের মাথা যেন বাচ্চাদের খাওয়ানো হয়, সে বিষয়েও অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে। অনেকেই ছোট মাছ, বিশেষ করে মলা ঢেলার মাথা কেটে ফেলে রান্না করেন। ছোট মাছের মাথায় যে ভিটামিন থাকে, সে বিষয়েও সচেতন করতে হবে।

২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর এই ক্যাম্পেইন চালানোর পরিকল্পনা থাকলেও ‘সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে’ তা বাস্তবায়নের জন্য কর্মসূচি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর এই ক্যাম্পেইন চালানো হবে বলে সরকারের তরফ থেকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। ওরিয়েন্টেশন সভায় জানানো হয়, ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫২ হাজার ১৭৬ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৪ হাজার ৪৬০ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেএফ/এম