• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দাপুটে গাড়ি চালক মালেক গ্রেপ্তার

আরটিভি নিউজ

  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৫২
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দাপুটে গাড়ি চালক মালেক গ্রেপ্তার
ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি চালক আব্দুল মালেককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

আজ রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল শাফি উল্লাহ বুলবুল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা কয়। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বয়েছে বলেও জানান তিনি।

একটি সূত্রে জানায়, চালক আব্দুল মালেক দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ-বদলি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। কোনও কর্মকর্তা যদি আ. মালেকের সুপারিশ না শোনেন তাহলে তাকে ঢাকার বাইরে বদলি করাসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটিয়েছেন একাধিকবার।

কর্মকর্তারা লোকলজ্জার ভয়ে এসব বিষয় কখনও প্রকাশ করেননি। নিজে অধিদপ্তরের একজন গাড়ির চালক হয়েও আ. মালেক একটি পাজেরো জিপ ব্যবহার করেন, এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ক্যান্টিন তিনি পরিচালনা করেন। তার রয়েছে তেল চুরির সিন্ডিকেট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যত গাড়ির চালক তেল চুরি করে, তার একটি অংশ তাকে দিতে হয়। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি পুরো অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। সিন্ডিকেট বাণিজ্য করে আ. মালেক ঢাকা শহরে একাধিক বাড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

কুমিল্লার বাসিন্দা মালেক ঢাকায় বিত্তবান জীবনযাপন করেন। রাজধানীর কামারপাড়ায় তার ৭ তলা বাড়ি রয়েছে। এছাড়া তিনি গ্রামের বাড়িতে কয়েকশ’বিঘা কৃষি জমি কিনে সেখানে গবাদি পশুর খামার গড়ে তুলেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, মালেক ড্রাইভার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক শাহ মনিরের আমলে বিপুল ক্ষমতাধর ছিলেন। কারণ শাহ মনির তার পরামর্শের বাইরে কিছুই করতেন না। গাড়ি চালককে দিয়ে ঘুষের টাকা আদায় করতেন শাহ মনির। অবশ্য চালাকি করেও তার শেষ রক্ষা হয়নি। একটি প্রকল্পে অ্যাম্বুলেন্স কেনায় দুর্নীতি করে ধরা খেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।

এক পর্যায়ে পেনশন ছাড়াই সরকারি চাকরি থেকে বিদায় নিতে হয় তাকে। এছাড়া ২০১০ সালে শাহ মনির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থাকার সময় প্রায় আড়াই হাজার স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ দেয়া হয়। এ নিয়োগে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। সাবেক মহাপরিচালক শাহ মনিরের সঙ্গে সখ্যের সুবাদে মালেক ড্রাইভার ওরফে হাজী আবদুল মালেক বিপুল অংকের অবৈধ অর্থ উপার্জনের সুযোগ পান।

কেএফ/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসচালক গ্রেপ্তার
কাফরুলে বাসাবাড়িতে দেহ ব্যবসার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৭
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, গণগ্রেপ্তার
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসা গাঁজার চকলেট-কেক জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
X
Fresh