• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

যে ভাষণে বাঙালি জাতি লক্ষ্যে পৌঁছায়

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৬ মার্চ ২০১৭, ২২:১৪

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রমনা রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভায় স্বাধীনতার ডাক দেন। ঘোষণা করেন বাঙালির মুক্তি সনদ। ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ১৯ মিনিটের ভাষণের মাধ্যমে পাকিস্তানের অপশাসন থেকে বাঙালির মুক্তির মূলমন্ত্র ঘোষণা করেন। তার এ ভাষণ স্বাধীনতার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণেই বাঙালি জাতি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৫ মার্চ পাক-বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। অবশেষে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের আত্মদান, মা-বোনের সম্ভ্রমহানি ও ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।

৭ মার্চ দিনটিতে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসে দলে দলে। কেউ হেঁটে, কেউ বাসে-লঞ্চে, কেউবা ট্রেনে। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে লাখ লাখ মানুষে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় বিশাল এ ময়দান ও আশপাশের এলাকা।

জনসমাবেশে অনেকের হাতেই ছিল মানচিত্র আঁকা লাল সূর্যের অসংখ্য পতাকা। তাদের গগণবিদারী স্লোগানে মুখরিত ছিল গোটা শহর।

বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি আর হাতাকাটা কালো কোট পরে বাঙালির প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু উঠে এলেন মঞ্চে। মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে অভিনন্দন জানালেন অপেক্ষমাণ জনসমুদ্রকে। তারপর শুরু করলেন তার ঐতিহাসিক ভাষণ।

মাত্র ১৮-১৯ মিনিটের এ ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে তুলে আনেন অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায়। এতে সামরিক আইন প্রত্যাহার, সেনাবাহিনীর ব্যারাকে প্রত্যাবর্তন, শহীদদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও জন প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর সংবলিত চার দফা দাবিও সেদিন উত্থাপন করেন তিনি।

ওয়াই/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh