ইন্টারনেটে ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নারীদের ধর্ষণ করতো মনির
টার্গেট করা নারীদের সঙ্গে প্রথমে মোবাইল ফোনে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতেন সৈয়দ মনির হোসাইন (৩৪)। এই মনির একজন ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ বলে দাবি করেছে র্যাব। রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-৪ এর অপারেশন অফিসার (এএসপি) মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী এ তথ্য জানান।
র্যাব বলছে, নারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তেই ফেসবুক, ইমু, হোয়াটঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের আপত্তিকর ছবি নেওয়ার পর সেগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একাধিক নারীকে ধর্ষণ করতো মনির। পাশাপাশি তাদের ছবি, ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকাও নিতো এই যুবক। কখনো কখনো সে কৌশল হিসেবে ছদ্মনামও ধারণ করতো। সে মশিউর কিংবা মইনুল ইসলাম নামও ব্যবহার করতো। মনিরের গ্রামের বাড়ি বরগুনা।
ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী একাধিক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম থানাধীন বাংলা কলেজের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪।
র্যাব কর্মকর্তা (এএসপি) মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত মনির ভুক্তভোগী এক নারীকে গত ৮ মাস যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপে তার আপত্তিকর ছবি সংগ্রহ করে। এরপর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। এছাড়াও তার ছবি, অডিও-ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করে আসছিলো। এছাড়া একই পন্থায় একাধিক নারীকে ধর্ষণ করে আসছিলো এই ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, আসামি মনির পেশায় একজন স্যানিটারি মেকানিক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সে এর আগেও এমন অনেক নারীকে ধর্ষণ করে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এসব কাজের জন্য সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নারীদের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করতেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মনিরের বিরুদ্ধে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কেএফ/পি
মন্তব্য করুন