• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নকল এনআইডি দিয়ে ঋণ উত্তোলনে সহায়তা: গ্রেপ্তার ৫

আরটিভি নিউজ

  ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:২৮
Assistance in loan recovery with fake NID: Arrest 5
নকল এনআইডির কপি ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে সহায়তাকারী চক্রের ৫ সদস্য মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার

নির্দিষ্টহারে কমিশনের বিনিময়ে অন্যের ভোটার আইডির নকল কপি ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে সহায়তাকারী চক্রের এমন ৫ সদস্যকে মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এই চক্রের মধ্যে এমন দুই সদস্যও রয়েছে যারা ই-জোন কোম্পানির মাধ্যমে আউট সোর্সিংয়ে নিয়োগকৃত খোদ নির্বাচন কমিশনের অধীনে খিলগাঁও ও গুলশান অফিসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। এপদে কাজ করার কারণে নির্বাচন কমিশন অফিসের সফটওয়্যার ব্যবহার করে তারা সহজেই নকল এনআইডি তৈরি করতে পারতো।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ওয়ালিদ হোসেন রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানান।

তিনি বলেন, গত শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডের ডি-ব্লক এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪১), আনোয়ারুল ইসলাম (২৬), সুমন পারভেজ (৪০), মো. মজিদ (৪২) ও সিদ্ধার্থশংকর সূত্রধর (৩২)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দ্বৈত, জাল ও ডুপ্লিকেট ১২টি এনআইডি জব্দ করা হয়। সিদ্ধার্থ শংকর সূত্রধর ও আনোয়ারুল ইসলাম খিলগাঁও ও গুলশান অফিসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে কর্মরত ছিল।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ঋণ পাস করতে একটি জালিয়াতিচক্র ঋণ নিতে আগ্রহীদের নকল জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করে- আমাদের কাছে এমন অভিযোগ আসে। এই প্রেক্ষিতে আমরা অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঋণের জন্য আবেদনকারী প্রত্যেকের কাছ থেকে নেয়া হয় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। এরপর সেই এনআইডি দিয়ে ঋণ পাস হলে তার ১০ শতাংশ হারে কমিশন নিতো চক্রটি। ব্যাংকের ঋণ নিয়ে খেলাপি হলে সিআইবি খারাপ হয়। ফলে পুনরায় খেলাপিরা ব্যাংক ঋণের আবেদন করতে পারতো না।

চক্রটি দ্বৈত, জাল ও ডুপ্লিকেট এনআইডি তৈরি করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন উত্তোলনে সহায়তা করতো।

গ্রেপ্তারকৃত সুমন ও মজিদ ঋণ পাস করে দিবে বলে, প্রথমে জাল এনআইডি তৈরির জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা নিতো। পরবর্তী সময়ে ঋণ পাস হলে মোট টাকার ১০ শতাংশ কমিশন দিতে হবে উল্লেখ করে চুক্তি করতো। চুক্তিতে একমত হলে তারা প্রথমে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতো। এই জাল এনআইডি তৈরি করে দিতো তাদেরই সহযোগী সিদ্ধার্থশংকর সূত্রধর ও আনোয়ারুল ইসলাম। তারা প্রত্যেকটি জাল এনআইডি তৈরি বাবদ ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নিতো।

চক্রটি এই পন্থা অবলম্বন করে অনেককে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলন করে দিয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক কার্যক্রমের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কেএফ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সর্বহারা নেতা রাজ্জাক হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৫
হুন্ডির মাধ্যমে তিন মাসে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫
ভাড়া বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ, নারীসহ গ্রেপ্তার ৫
মহাসড়কে চলন্ত গাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি, গ্রেপ্তার ৫
X
Fresh