করোনার মধ্যেও সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই হাজার মানুষ
প্রায় ছয় মাস ধরে দেশে করোনা সংক্রমণে নিয়ন্ত্রিণ যানবাহন চলাচল করছে। এর মধ্যে লকডাউনে বেশিরভাগ যানবাহনই বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। তবু এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন প্রায় দুই হাজার মানুষ।
যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, বিআরটিএ-এর সক্ষমতার ঘাটতি সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধির প্রধান কারণ।
ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গেলো মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত ছয় মাসে এক হাজার ৫০৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় এক হাজার ৯৫৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৫৯৮ জন।
ওই তথ্যে দেখা গেছে, গেলো ২৪ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সড়কে টানা ৬৬ দিন গণপরিবহন একেবারেই বন্ধ ছিল। ১ জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সড়কে সীমিত পরিসরে পরিবহন চলেছে। সাধারণ ছুটির সময় সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহত তুলনামূলক কমলেও ছুটি শেষে দুর্ঘটনা আবার বেড়েছে।
---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আজ সারাদিন কেমন আবহাওয়া থাকবে?
---------------------------------------------------------------------
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, ২৪ মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটির সঙ্গে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। তারপরও মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪২৭ জনের মৃত্যু হয়।
এপ্রিলজুড়ে দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে পুরোপুরি বাস-গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। তারপরও ১১৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হন ১৩৮ জন। মে মাসেও সাধারণ ছুটি অব্যাহত থাকায় সড়ক ছিল অনেকটা ফাঁকা। তারপরও মে মাসে ২১৩টি দুর্ঘটনায় ২৯২ জনের মৃত্যু হয়।
১ জুন থেকে দেশে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। ফলে জুন থেকে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হার আগের মতো বেড়ে যায়। জুনে ২৯৭টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩৬১ জনের।
একই ধারা অব্যাহত থাকে জুলাইয়েও। ওই মাসে ২৯৩টি দুর্ঘটনায় নিহত হয় ৩৫৬ জন। সর্বশেষ আগস্টে ৩০২টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৭৯ জনের। অর্থাৎ এ তিন মাসে দুর্ঘটনা যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে বেড়েছে মৃত্যুও।
এসজে
মন্তব্য করুন