• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

পাপুলের ঘনিষ্ঠ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

আরটিভি নিউজ

  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:৪৬
member of perlament, politics,
কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের ঘনিষ্ঠ দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

প্রথমেই লক্ষ্মীপুর জেলার স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ও পাপুলের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত এ কে এম সালাউদ্দিন টিপুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরপরই আরেক ঘনিষ্ঠজন মো. আরিফ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।

এর আগে লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নুর উদ্দীন চৌধুরী নয়ন ও কাজী মো. জামশেদ কবির বাকী বিল্লাহকে গত ৮ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।

একই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২২ জুলাই পাপুলের স্ত্রী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণমাধ্যমের কাছে পাপুল ষড়যন্ত্রের শিকার বলে এমপি সেলিনা ইসলাম দাবি করেন।

জানা গেছে, কুয়েতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ১০০ জনেরও বেশি ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযুক্তদের তালিকায় এমপি কাজী পাপুলের নামও ছিল। কুয়েতে ব্যবসা রয়েছে তার। মার্চ মাসের শেষদিক থেকে কুয়েতেই অবস্থান করছিলেন তিনি।

গত ফেব্রুয়ারিতে কুয়েতের আরবি দৈনিক আল কাবাস ও আরব টাইমস সংসদ সদস্যসহ বাংলাদেশের মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের ৩ জন মানব পাচারকারীকে ধরতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল এই ৩ জনের মধ্যে একজন। সেখানে গ্রেপ্তার অভিযান শুরুর আগেই তিনি দেশে চলে আসেন। কুয়েতে তার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ মাস ধরে কর্মীদের বেতন দিচ্ছিলো না।

কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির নিরাপত্তা বিভাগ বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্যকে খুঁজছে যার অবৈধ ভিসার ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তার কোম্পানি যাতে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পায় সেজন্য বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ঘুষ হিসেবে ৫টি বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দেন।

কুয়েতের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০ হাজার বাংলাদেশিকে কুয়েতে পাচার করে ওই চক্রটি ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কাজী শহিদ ইসলামের ফেসবুক ও ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি মারাফী কুয়েতিয়া গ্রুপ অব কোম্পানিজ, কুয়েত, ওমান ও জর্ডানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রতিষ্ঠানটি জনশক্তি রপ্তানিতে যুক্ত। এ ছাড়া তিনি বেসরকারি খাতের ব্যাংক এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান এবং এনআরবি সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কোম্পানির চেয়ারম্যান। স্বতন্ত্র এই সাংসদ আওয়ামী লীগ কুয়েতের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য, বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

বিগত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন।

চলতি বছরের ৬ জুন রাতে অভিযান চালিয়ে কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই দেশের মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে পাপুলকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানের সময়ে পাপুল ও তার কুয়েতি প্রতিষ্ঠান ‘মারাফি কুয়েতিয়া’র অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ টাকা) জব্দ করা হয়।

কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গ্রাহককে ঋণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ অর্জন করে বিদেশে পাচারসহ শত শত কোটি টাকা জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। এরই মধ্যে অনুসন্ধানের স্বার্থে পাপুল পরিবারের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।

কেএফ/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘অকৃতজ্ঞরা ভুলে যায় জিয়াকে মেজর জেনারেল বানিয়েছিল আওয়ামী লীগ’
গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না আওয়ামী লীগ : মঈন খান
‘বিএনপির কারণে এখনও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি’
আ.লীগ নেতার গাড়িতে মুহুর্মুহু ককটেল হামলা
X
Fresh