দেশের উত্তরাঞ্চলে বেকার হয়ে পড়েছে লাখো তামাক চাষী

উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের হাজারো তামাক চাষী। বেকার হয়ে পড়েছে লাখো শ্রমিক।

সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে বৃহত্তর রংপুরের তামাক চাষী ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম ফকির আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে উত্তরজনপদে আবারো মঙ্গা ফিরে আসবে। তিনি অভিযোগ করেন, চলতি বাজেটে বিড়িতে অত্যধিক কর আরোপ করায় বিড়িশিল্পে নির্ভরশীল কৃষক-শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।

তামাক চাষীদের সুরক্ষা নীতিমালা, চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিড়িতে বৃদ্ধিকৃত শুল্ক প্রত্যাহার, বিড়িতে অগ্রীম আয়কর বাতিল, দেশীয় শিল্প রক্ষা, বিড়িকে কুটির শিল্প ঘোষণাসহ ৬ দফা দাবি জানান, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের তামাক চাষী ও ব্যবসায়ীরা।

লিখিত বক্তব্যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম ফকির বলেন, উত্তরাঞ্চলের বিশেষ করে বৃহত্তর রংপুরের বেশির ভাগ মানুষ তামাক চাষ ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এখানকার মাটিতে বালির পরিমাণ বেশী হওয়ায় অন্য কোনো ফসলের ফলন ভালো হয় না। ফলে তারা তামাক চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আর তামাক শুধু বিড়ি শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে প্রতি প্যাকেট বিড়িতে ৪ টাকা মূল্য বৃদ্ধি করায় বিড়ি কারখানগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা যেমন বেকার হয়ে পড়ছে তেমিন আমাদের উৎপাদিত তামাক বিক্রয় বন্ধ হয়ে পড়েছে।

এতে উৎপাদিত হাজার হাজার টন তামাক নষ্ট হয়ে রংপুর অঞ্চলের তামাক চাষীরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন। এই এলাকার মানুষের অন্য কোনো আয়ের পথ না থাকায় দেখা দিচ্ছে অভাব-অনটন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আবার ফিরে আসবে সেই মঙ্গা পরিস্থিতি। যা বর্তমান সরকারের জন্য কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই হাজার হাজার তামাক চাষী ও ব্যবসায়ীদের ব্যবসা এবং বিড়ি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান রক্ষার স্বার্থে বিড়ির উপর অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করার জন্য সরকার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে জোর অনুরোধ করছি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তামাক চাষী ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো: হামিদুল হক, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম তুহিন, তামাক চাষী ও ব্যবসায়ী ওহিদুল ইসলাম, শ্রী চিত্ত রঞ্জন ও শ্রী মোহন লাল রায় প্রমুখ।

এমকে