• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ধর্ষণ-হত্যার পর জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা সেই এসআই প্রত্যাহার

আরটিভি নিউজ

  ২৬ আগস্ট ২০২০, ২০:০৭
Withdrawal of the investigating officer after rescuing the dead teenager alive
মৃত কিশোরিকে জীবিত উদ্ধারের পর তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার

নারায়ণগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী নিখোঁজ হয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে দাবি করেছিল, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ওই শিশুটিকে। ঘটনার দেড় মাস পর ওই স্কুলছাত্রী জীবিত উদ্ধারের পরই তোলপাড় শুরু হয়েছে।

কিশোরী জিসামনিকে জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুনকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। বুধবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম।

তিনি জানান, এ ঘটনায় আমরা ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। যেহেতু এতে তিনি অভিযুক্ত, তাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজকে প্রধান ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেনকে সদস্য করা হয়েছে।

একইসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম আল মামুনকে প্রত্যাহার করে পরিদর্শক আবদুল হাইকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, শহরের এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জিসামণি গেলো ৪ জুলাই বিকেলে তাদের বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। দীর্ঘদিন খোঁজাখুঁজি করে মেয়ের সন্ধান না পেয়ে এক মাস পর ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন নিখোঁজ হওয়া ছাত্রীর বাবা।

এ ঘটনায় সেই ছাত্রীর মায়ের মোবাইলফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে গত ৭ ও ৮ আগস্ট পুলিশ একই এলাকার রকিব, আবদুল্লাহ ও খলিল নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। যাদের মধ্যে খলিল নৌকার মাঝি। গ্রেপ্তারের পর এই তিন আসামি দুই দফা রিমান্ড শেষে সেই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করে ৯ আগস্ট আদালতে জবানবন্দি দেয় বলে পুলিশ সে সময় গণমাধ্যমকে জানায়।

বর্তমানে আসামিরা জেলহাজতে রয়েছেন। তবে ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর গতকাল রোববার (২৩ আগস্ট) মোবাইলফোনে খবর পেয়ে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে জীবিত ফিরে পাওয়ার পর তার বাবা-মা বিষয়টি রাতে সদর থানায় গিয়ে জানান।

কিশোরী মা বাবা বলেন, আমার মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী। সে বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্য এক যুবকে বিয়ে করে এবং তার স্বামীর সাথে সে দেড় মাস যাবত ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে। এখন আসামিদের বিরুদ্ধে তাদের আর কোনও অভিযোগ নেই এবং মামলাটি তারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আসামীদের স্বজনরা বলছেন, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম রিমান্ডে তিনজনকে মারধর করেছেন এবং আমাদের তিন পরিবারে কাছ থেকে তিনি ৪৭ হাজার টাকাও নিয়েছেন। আমারা পুলিশের এই কর্মকর্তার বিচার দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ আসামিদের জবানবন্দির বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হবে। পাশাপাশি বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে সমাধানের আশ্বাস দেন জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন: করোনার কারণে এবার তাজিয়া মিছিল নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফেসবুকে লাইভের জেরে চাকরি গেল এসপির
যানজট না থাকলেও পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, দুর্ভোগে যাত্রীরা
নারায়ণগঞ্জে ব্যাটারি কারখানায় আগুন
ঘর ছাড়লো বিটিএসভক্ত দাখিল পাস ছাত্রী
X
Fresh