• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জিয়া সম্পর্কে খুনি মাজেদের জবানবন্দি

আরটিভি নিউজ

  ১৫ আগস্ট ২০২০, ১২:৫৯
murderer Majed
খুনি মাজেদ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ ২৫ বছর ধরে ভারতে পালিয়ে ছিলেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভারত থেকে গত ২৬ মার্চ ময়মনসিংহ সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই কার্যকর হয় খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসির দণ্ড। ফাঁসিতে ঝোলার আগে বঙ্গবন্ধুর এই খুনি জবানবন্দি দিয়েছেন।

মাজেদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিলেন জিয়াউর রহমান।

আরটিভি নিউজের কাছে ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের দেয়া জবানবন্দির একটি ভিডিওচিত্র এসেছে। পাঠকদের জন্য তা প্রায় হুবহু তুলে ধরা হলো-

জবানবন্দিতে যা বলেছেন মাজেদ

'১৫ ই আগষ্ট ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান সাহেব ১০টা ১১ টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট অডিটরিয়ামে সব ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এর জোয়ান এবং অফিসারদের এ্যাডড্রেস করেন। ওখানে উনি (জিয়াউর রহমান) মোটিভেট করেন যে, ‘এখন যে ঘটনা গত রাতে ঘটে গেছে তোমরা সে সমস্ত নিয়ে কোন রকম মাথা ঘামাবে না। তোমরা সব চেইন অব কমান্ড এ ফিরে যাও। সবাই কাজকর্ম করো। এটা জাতির ব্যাপার এটা আমাদের ব্যাপার না।’ এভাবে উনি (জিয়াউর রহমান) মোটিভেটেড লেকচার দিয়েছেন ওখানে ক্যান্টনমেন্ট অডিটরিয়ামে। উনি (জিয়াউর রহমান) বঙ্গভবনে খুনীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতেন এবং খুনীরাও ওখান থেকে যোগাযোগ করতেন ডাইরেক্ট এবং আর্মির চেইন অব কমান্ড বলতে কিছু ছিলো না। ওরাই চালাতো প্র্যাকটিক্যালি। ওখান থেকে।

উনার (জিয়াউর রহমান) সাথে মাঝখানে একবার আমি ইন্টারভিউ দিতে যাই, জিয়াউর রহমান সাহেবের সাথে সেনা হেডকোয়ার্টারে। সেখানে উনি, উনাকে (জিয়াউর রহমান) বললাম যে, আমাকে আমার একটা বাহিরের সিভিল সার্ভিস এর ব্যাপারে উনাকে (জিয়াউর রহমান) বললাম, একটা সার্ভিসের ব্যাপারে ওনাকে অনুরোধ করেছিলাম। সেই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি। তখন উনার (জিয়াউর রহমান) সাথে যে আলোচনা হয়েছে, তখন দেখা গেছে যে তিনি (জিয়াউর রহমান) প্র্যাকটিক্যালি এই ক্যু এর পক্ষপাতসুলভ কথাবার্তা বলছেন। ওদের পক্ষ হয়ে কথা বলছেন। এটা করেছেন কিন্তু উনার (জিয়াউর রহমান) কথাবার্তার বুঝা যাচ্ছে দেখা গেছে যে উনি (জিয়াউর রহমান) ক্যু’র সমর্থক। ওদের সাথে উনার (জিয়াউর রহমান) সবকিছু যোগাযোগ। পরবর্তীতে যখন বিদেশে যাওয়ার প্রশ্ন আসলো তখন তিনি (জিয়াউর রহমান) বঙ্গভবনে ডাইরেক্ট কথা বলতে পারি না, দেখেছি ওনার সাথে উনি দেখি মিলিটারি সেক্রেটারী, প্রেসিডেন্ট এর সাথে উনারা কথাবার্তা বলছেন। তাতে এই সমস্ত আমরা দূরে থেকে দেখেছি।

পরে (জিয়াউর রহমান) বললো যে এখানে বঙ্গভবনে যে সমস্ত অফিসাররা আছে তারা সবাই বাহিরে বিদেশে যাবে। বিদেশে তাদের উনি কাগজপত্র তৈরি করার জন্য মিলিটারী সেক্রেটারী ছিলেন তখন ব্রিগেডিয়ার মাশহুর হক উনাকে নির্দেশ দিছেন আরকি। যেহেতু আমরা বঙ্গভবনে ডিউটিরত ছিলাম, স্কট ডিউটি সেখান থেকে আমাদেরকেও ব্যাংককে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ব্যাংককে যাওয়ার পরে সেখান থেকে আমাদেরকে ফেরত পাঠাইনি বরং সেখান থেকে তারা শুনলাম যে তখন তো জিয়াউর রহমান সাহেব পুরা ক্ষমতায়। তিনি (জিয়াউর রহমান) তাদেরকে লিবিয়ায় আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করেছেন। পরে আমরা শুনলাম সেখানে জেলখানাতেও তারা চারজন জাতীয় নেতাকে মেরে গেছে। এই রিসালদার মোসলেম উদ্দিন ওখানে ঘোষণা করছে, বলছে তার সাথে দুইটা সিপাই ও ছিলো। সিপাইরা তো ওখানে যাওয়ার কথা নয়। সিপাই তারপরে রিসালদার।

তারপরে লিবিয়াতে আমরা গিয়েছি। লিবিয়ায় যাওয়ার পরে বলে যে, ফরেন সার্ভিস হবে সবার। জিয়াউর রহমান ফরেন সার্ভিস দিবেন সবাইকে প্রাইজ হিসেবে এবং একটা করে প্রমোশনও দিয়ে দিবেন। পরে কিছু দিন পরে কয়েকমাস আমার মনে নাই এক্স্যাক্ট ডেট সেই জেনারেল জিয়াউর রহমান এর প্রতিনিধি জেনারেল নুরুল ইসলামকে (শিশু) পাঠায়। জেনারেল নুরুল ইসলাম শিশু যায় সেখানে। ওদের সাথে মিটিং করে। কার কার কোথায় ফরেন পোষ্টিং হবে সেই চয়েজ নিতেই উনি গেছেন ওখানে। জিয়াউর রহমানের পক্ষ থেকে। জিয়াউর রহমান, উনার ডাইরেক্ট মদদ ছিলো ওদের প্রতি। উনি তো ওদেরকে টোটাল পেট্রোনাইজড, একটা করে প্রমোশন জাম্পড এবং একটা করে ফরেন প্রাইজ পোষ্টিংগুলি এগুলি তো অফিসারেরা ফরেন সার্ভিস এর জন্য কোয়ালিফাইড নয়। এটা তো সত্যি কথা। তো ফরেন সার্ভিস এর জন্য এসব অফিসাররা কোয়ালিফাইড নয়, মোষ্ট অব দেম শর্ট সার্ভিস কমিশনড অফিসার। অল্প কতদিনের ইভেন তারা গ্র্যাজুয়েটও না। তাদেরকে ফরেন সার্ভিস হিসেবে প্রাইজ পোষ্টিং দিচ্ছে। এটাতে বুঝা যাচ্ছে যে উনি (জিয়াউর রহমান) পুরো ওদের সাথে একদম সংযুক্ত। আর লেয়ার থেকেই উনার সাথে কথা।

এগুলি উনার (জিয়াউর রহমান) কথার ধরনে বোঝা যায়। তারা (ক্যু অফিসারের পরিবার) বঙ্গভবন থেকেই পাঠিয়ে দিয়েছে তাদের। তাদের জন্য পাসপোর্ট মাইগড পরিবার শুধু? বিয়ে করে নাই তারা চলে গেছে। অন্যান্য মহিলারা তাদের ফিয়ান্সে, গার্লফ্রেন্ড এধরনের এগুলি আর কি কথা বলবো, এ ধরনের, ওই বিয়ে হয়নি। মেজর শাহরিয়ার বিয়েও করে নাই এক ভদ্রলোকের ওয়াইফকে নিয়ে চলে গেছে। সেসব কাগজপত্র পর্যন্ত তাদেরকে বানিয়ে দিয়েছে। আবার ওই যে, আরেকটা মেজর হুদা অবশ্য পরে গেছে তার ওয়াইফ। বিয়ে হয়নি কিছুই হয়নি নারায়ণগঞ্জের এক মেয়ে হুদার ওয়াইফ বলে গেছে। পরে তার ওয়াইফ জয়েন করে। তাকে কাগজ করে দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে ওখানে। এ সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কারণে বুঝা যাচ্ছে যে এগুলি এখান থেকে হচ্ছে।

উনি (জিয়াউর রহমান) ছাড়া তো আর এগুলি হতে পারে না তখন। উনি (জিয়াউর রহমান) যেহেতু আর্মি চীফ এরা আর্মি অফিসার। বিয়ে ছাড়া এ সমস্ত মহিলারা একোম্পানি করছে। যাদের ওয়াইফ ছিলো, চিলড্রেন ছিলো তাদের ব্যাপার ভিন্ন। এরাও একোম্পানি করেছে। আমরা লক্ষ করেছি ওনার (জিয়াউর রহমান) ওয়াইফ ক্যান্টনমেন্ট এ। ৭১ সালে উনার ওয়াইফ উনি তখন মনে হয় চিটাগাং ছিলেন। উনার (জিয়াউর রহমান) ওয়াইফকে আমার দেখা হয়েছে ১৯৭২ সালে যখন উনি কুমিল্লার। ওখানে ক্যান্টনমেন্ট এ ছিলো চিটাগাং এর। উনি (জিয়াউর রহমান) তো ৭২ সালে ব্রিগেড কমান্ডার ছিলেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এর। ওখানে আমরা দেখেছি। অ্যাজ এ ব্রিগেড কমান্ডার ওয়াইফ হিসেবে যখন রিসিপশন হতো তখন দেখেছি এই স্যার। উনি (খালেদা জিয়া) শুনেছি যে, উনি ৭১ সালে উনি ইয়েতে ছিলেন। তো এখানে জিয়াউর রহমান এর এ সমস্ত বক্তব্যগুলো। আমি উনাকে (জিয়াউর রহমান) দুই/তিনবার দেখেছি। উনার বক্তব্য শুনেছি। অডিটরিয়ামে সামান্য কয়েক মিনিট এর জন্য শুনছি। আমরা বাইরে দিয়ে দাড়ানো ছিলাম। ওখানে উনি (জিয়াউর রহমান) বক্তব্য রাখছেন। অনেক লোক সেখানে। ক্যান্টনমেন্ট অডিটরিয়ামে। জায়গা হয়নি, জায়গা খুব কম ছিল। ওখানে জায়গা ভর্তি। যারা আগে বসে গেছে বসে গেছে। আমরা তো পরে গেছি। ক্যু পার্টি সেখানে ছিলো না। উনি (জিয়াউর রহমান) ক্যান্টনমেন্ট এ যে জোয়ানরা ছিলো আর অফিসাররা ছিলো তাদেরকে মোটিভেট করার জন্য।

ওই মোটিভেট ছিলো, যেটা ঘটনা হওয়ার হয়ে গেছে। এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। ফারদার কোন কিছু যেন না হয়। না হলে তো তখনি, তখন বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর একটা সিপাহীও ইয়ে করে নাই। তারাতো জানেও না এসব। তাদের তো কোন অফিসাররা ক্যু’তে ইনভলব ছিলো না। তারা ওই বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর রিটায়ার্ড অফিসার কিছু ছিলো। দুইজন-তিনজন। আর বাকিরা ট্যাংক রেজিমেন্ট, আর্মার্ড কোরের লোক। ওরা ছিলো না ক্যু অফিসাররা ছিলো না। ওখানে যারা ক্যু’তে ছিলো না তারা ছিলো। বক্তৃতা দিয়েছেন, মোটিভেট করেছেন। উনার (জিয়াউর রহমান) তো সমর্থন আছে তা না হলে উনি আগ বাড়িয়ে এসব মোটিভেশন করবে কেন উনাদেরকে? উনার (জিয়াউর রহমান) তো সমর্থনই, এ তো পরিষ্কার কথা। এখানে সাবসিকুয়েন্স তার এ্যাকশন ই তো বুঝা যায়। এখানে ওদের প্রতি তো উনার (জিয়াউর রহমান) সমর্থন ওদের প্রতি। রেগুলার ওরা ওরাই ডিক্টেক্ট করতো সব কিছু। হুকুম চালাতো ওখান থেকে। ওরা যাই চাইতাে তাই উনি (জিয়াউর রহমান) করে দিতো। এধরনের অবস্থা ছিলো তখন। এতেই তো পুরো ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। একদম পরিষ্কার করে সবগুলি নাম, সব অফিসারের প্রত্যেকটার নাম ঘটনা ইভেন শহীদ খালেদ মোশাররফকে কারা কারা শহীদ করছে উনার (জিয়াউর রহমান) সেটাও আছে।

আমরা শুনেছি যে উনি (শহীদ খালেদ মোশাররফ) বলছেন শুধু যে বঙ্গভবনে বসে এই মেজর মেজর এরা বসে থাকবে কেন ওখানে। তারা চলে আসবে। তারা চলে আসুক। ইউনিটে চলে আসবে। তারা কমান্ডে চলে আসবে ফিরে। তার একটা ন্যায্য দাবী। সঠিক দাবী যে চেইন অব কমান্ড। চেইন অব কমান্ড ছাড়া ফোর্স চলে নাকি? যে যে অফিসাররাই করছে আছে, কিন্তু এদের সমর্থন ছিলো। এরা এইসব ঘটনার সাথে মূলহোতা। এরা এইসব কিছু করছে। এদের সব কিছু ভিআইপির মতো ট্রিটমেন্ট দিতো। তারা বঙ্গভবনে ভিআইপি। উনাদের (ক্যু পার্টির সদস্যদের) ছিলো সামনে যে প্রেসিডেন্ট এর ভিআইপিরা যে গেইট দিয়ে ঢুকে সামনের গেইট, ফ্রন্ট গেইট। প্রেসিডেন্ট এর পাশে রুমে স্যুইট মোশতাক সাহেবের যে রুমে থাকতেন সেই পাশে ছিলো। আমরা তো কখনো দোতলায় উঠিনি। দোতলায় এখান দিয়ে উঠে ডাইরেক্ট লিফট। লিফটে উপরে যাইতেন এবং এখানেই কথোপকথন হোতা আর্মির সাথে এবং জিয়াউর রহমান সাহেবের সাথে ।

জিয়াউর রহমান আসলেও এখানে এদের সাথে কথাবার্তা বলতেন। এই বঙ্গভবনে আসলেই উনাদের (জিয়াউর রহমান এর সাথে ক্যু পার্টির সদস্যদের) সাথে মিটিং হতো এখানে। ক্যু এর পরে বঙ্গভবনে ওই সামনের ফ্রন্ট গেইট দিয়ে উনি এই জিয়াউর রহমান যখন আসতেন আমরাতো পিছন থেকে খবর দেখতাম ই দেখতাম স্যার সবকিছু এই গাড়ী দিয়ে নামছে উনি উঠে উপরে চলে যেতেন ওই ক্যু নেতাদের উপরে চেম্বার ছিলাে, রুম ছিলো। তারা যে থাকতো সেখানে মিটিং করতো তাদের সাথে।’’

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ এপ্রিল প্রথম প্রহরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের। এর আগে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি এখনও পালিয়ে আছেন। তাদের মধ্যে এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী কানাডায় ও এ এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। অন্য তিনজন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিনের অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। এছাড়া ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আরেক আসামি আজিজ পাশা ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান।
জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙায় ফখরুলের প্রতিবাদ
ঢাবির অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক
‘জিয়াউর রহমান রাজাকারদের মুক্তি দিয়েছে, আমরা বিচার করছি’
নানা চমকে শিরোনামহীনের ‘বাতিঘর’ প্রকাশ
X
Fresh