জাপানের প্রতি বাংলাদেশের মমত্ববোধ অনেক অর্থবহ: রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, ‘জাপান ও বাংলাদেশের জনগণসহ সবার জন্য আরও শান্তিময় ও সম্প্রীতির বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাব। ’
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিশ্ব হিরোশিমা ট্রাজেডির ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
হিরোশিমা দিবস উপলক্ষে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি আশা করি, এ ৬ আগস্ট মানুষকে, বিশেষত তরুণ প্রজন্মকে যুদ্ধের ভয়াবহতা ও শান্তির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে অনুপ্রাণিত করবে। যেহেতু মানবিক সংকট ও মহামারি জাতীয় সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে, যে কোনো মুহূর্তে সামরিক সংঘর্ষের শঙ্কা রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে একসসেঙ্গ শান্তির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা ও তা ভাগ করে নেওয়ার বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ’
‘আনবিক বোমার শিকার অসংখ্য আত্মার প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। হিরোশিমা ও নাগাসাকির বোমা হামলার ৭৫ বছর হয়েছে। প্রতি বছর বেঁচে যাওয়া লোকের সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। তাই এ ট্রাজেডির কথা স্মরণ করা ও সেখান থেকে যে শিক্ষা আমরা পেয়েছি, সেগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে,’ যোগ করেন তিনি।
ইতো নাওকি আরো বলেন, ‘গত বছর যখন আমি বাংলাদেশে প্রথম এসেছি, তখন আমার কাছে এটি একটি আনন্দদায়ক আশ্চর্যের বিষয় ছিল যে এতো বেশি বাংলাদেশি হিরোশিমা ও নাগাসাকি ট্রাজেডির বিষয়ে জানেন। অনেক বাংলাদেশি কয়েক দশক ধরে ৬ আগস্ট হিরোশিমা ও নাগাসাকি ট্রাজেডিকে হিরোশিমা দিবস হিসেবে স্মরণ করে চলেছেন। বাংলাদেশ থেকে জাপানের প্রতি সেই মমত্ববোধ আমাদের কাছে অনেক অর্থবহ। তাই বাংলাদেশে হিরোশিমা দিবস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ’
এসজে
মন্তব্য করুন