চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের হার নিম্নগামী: সিভিল সার্জন (ভিডিও)
চট্টগ্রামে পরীক্ষার বিপরীতে করোনা সংক্রমণের হার নিম্নগামী বলে দাবি করেছেন সিভিল সার্জন। আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, সংক্রমণের হার কমেনি; বরং শনাক্ত হওয়ার হার কমেছে। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা।
চট্টগ্রামে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল। এরপর ১০০ জন অতিক্রম করতে সময় লেগেছিল এক মাস দুদিন। আর পরের পাঁচশত জন অতিক্রম করতে লেগেছে নয়দিন। তার পরের সাতদিনে রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজারে। সর্বশেষ ১৫ দিনে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার নিম্নগামী বলে দাবি করেছেন সিভিল সার্জন। আপাতত লকডাউনের চিন্তা নেই। তবে যদি প্রয়োজনে পড়ে ছোট ছোট এলাকা লকডাউনের কথা বলছেন চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী। তিনি বলেন, গত পনের দিনে সতের থেকে বাইশ ভাগে নেমে আসছে শনাক্তের হার। এখন সব কিছু মিলে সংক্রমণ কিছুটা নিম্নগামী।
প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় এই পর্যায়ে এসে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। তারা বলছেন, টিভি বা ইন্টারনেট দেখলে করোনাকে খুব ভয় হয়। তবে সকালে বাড়ি থেকে বেড় হলে করোনা যে আমাদের বাংলাদেশে আছে মনে হয় না। মানুষ আগের মতো সচেতন নয়। অনেক লোক মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফুটপাতে চা খাচ্ছে সাত থেকে আট জন একসাথে, কোনো সামাজিক-শারীরিক দূরত্ব নেই।
স্বাচিপ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলছেন, চট্টগ্রামে সংক্রমণ কমেনি বরং সংক্রমণ শনাক্তের হার কমেছে। কারণ পরীক্ষা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। এটাকে যদি সংক্রমণ কমেছে ধরে নেই, তাহলে, আমরা আবার একটা ভুল করবো। আমি আশঙ্কা করছি, সামনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়বে।
মাস্ক ব্যবহারে কঠোর হওয়ার কথা জানিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল ১৬টি নির্দেশনা দিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখান বিশেষ করে মাস্ক পরার কথা বলা হয়েছে। আর তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
মানুষ সচেতন না হলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুনঃ মিডিয়া সাহায্য করলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারব: স্বাস্থ্য ডিজি
পি
মন্তব্য করুন