বড় সংকটের মুখে বাংলাদেশ: দ্য গার্ডিয়ান
কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্যার সামনে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। সুপার সাইক্লোন আম্পানের ক্ষত কাটিয়ে ওঠার আগে এই বন্যার কারণে বাংলাদেশে মানবিক সংকট তৈরি হতে পারে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
যদিও এই সংকট মোকাবিলায় সরকারের নতুন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ। তবে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতে বন্যায় এ পর্যন্ত ৫৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯৬ লাখ মানুষ।
বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ইতোমধ্যে ডুবে গেছে। চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, চলতি বছরের বন্যা ১৯৮৮ সালের পর সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
বাংলাদেশি এনজিও কোস্ট-এর নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, অতীতের যেকোনো বন্যাকালীন সময়ের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে দেশের। তবে স্থানীয় ও জাতীয় সংকটের কারণে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন চরম সংকটে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন ২৫টি পাটকল, যেগুলোর অধিকাংশ উত্তরাঞ্চলে, বন্ধ করে দেয়ায় অনেকের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাই। এছাড়া করোনাভাইরাস মহামারিও রয়েছে।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, লকডাউনের কারণে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। গ্রামীণ অঞ্চলের আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশই আসতো শহর এলাকা থেকে। আর সেই অবস্থাতে হঠাৎ করেই শ্রমিক ও রিকশাওয়ালারা বাড়িতে টাকা পাঠানো বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী দারিদ্র সীমার নিচে চলে গেছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও জ্বালানি ক্রয়ের ওপর এর প্রভাব রয়েছে, এই জটিল পরিস্থিতি আমাদের পার করতে হবে বলে জানান কোস্টের নির্বাহী পরিচালক।
তিনি বলেন, মহামারি মোকাবিলা করতে গিয়ে স্থানীয় সংস্থাগুলোর তহবিল শেষ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে সেইসব কৃষকদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে যাদের ফসল আগস্টে ঘরে তোলার আগেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ
মন্তব্য করুন