সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
আইরিশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে রাজকীয় জয় পায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। যদিও পরের ম্যাচে হেরে যাওয়ায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ দাঁড়িয়েছে অলিখিত ফাইনালে।
দ্বিতীয় ম্যাচের মতো তৃতীয় ম্যাচেও বৃষ্টি বাধা। নির্দিষ্ট সময়ের কিছুক্ষণ পরে হয় টস।
ডাবলিনের মালাহাইড ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এদিন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক দল। কেন না, দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে রানের পাহাড় গড়েছিল আইরিশরা।
এর আগে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-২ ম্যাচে ড্র হয় সিরিজ।
বাংলাদেশ ‘এ’
জাকির হাসান, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ মিথুন, সৌম্য সরকার (অধিনায়ক), মোহাম্মদ আল আমিন, সাইফউদ্দিন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সানজামুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম ও খালিদ আহমেদ।
আরও পড়ুন :
এমআর/পি
মন্তব্য করুন
আইপিএলে ১৪ বছর পর অধিনায়ক পরিবর্তন চেন্নাইয়ের
আইপিএলের ১৬ বছরের ইতিহাসে সব থেকে সফল দল চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে)। যৌথভাবে সর্বোচ্চ পাঁচটি শিরোপা ঘরে তুলেছে তারা। এই সফলতার মূল নায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া আইপিএলের ১৭তম আসরে চেন্নাইকে নেতৃত্ব দিবেন তরুণ ব্যাটার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) গায়কোয়াড়কে অধিনায়ক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। এক প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজি নয় বরং চমকপ্রদ এই সিদ্ধান্ত এসেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে।
এরপর এক বিবৃতিতে এই বিষয়টি পরিষ্কার করেছে চেন্নাই। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০২৪ আইপিএলের শুরুতে এমএস ধোনি সিএসকের নেতৃত্ব ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের কাছে হস্তান্তর করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে ঋতুরাজ চেন্নাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, এখন পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে ৫২ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। নতুন মৌসুমেও ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছে চেন্নাই।
এর আগে গত ৪ মার্চ নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি রহস্যময় পোস্ট দিয়েছিলেন ধোনি। যেখানে তিনি লিখেছিলেন, আসন্ন নতুন মৌসুম এবং ‘ভূমিকা’র (রোল) জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না। অবশেষে সেই পোস্টের দুই সপ্তাহ পর এসে নেপথ্য ঘটনা জানা গেল। সব মিলিয়ে ১৪ বছর পর অধিনায়ক পরিবর্তন করলো চেন্নাই।
আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে আইপিএলের সপ্তদশ আসর শুরু হবে। উদ্বোধনী ম্যাচেই গত আসরের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই ঘরের মাঠ এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মোকাবিলা করবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি)। আইপিএলে অধিনায়কদের ফটোসেশনের চেন্নাইয়ের প্রতিনিধি হিসেবেও ছিলেন গায়কোয়াড়।
সবশেষ আসর দিয়ে চেন্নাই ধোনির নেতৃত্বে যৌথভাবে সর্বোচ্চ পাঁচবার আইপিএলের শিরোপা জিতেছে। সমান সংখ্যক বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সও। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চেন্নাই ২৪৯ ম্যাচের মধ্যে ধোনির নেতৃত্বে খেলেছে ২৩৫ ম্যাচ।
২০১৬ ও ২০১৭ আসরে চেন্নাই নিষিদ্ধ থাকায়, ১৪ ম্যাচ রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টসের অধিনায়কত্ব করেন তিনি। সবমিলিয়ে আইপিএলের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সর্বাধিক ২২৬ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডও এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের দখলে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫৮ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন রোহিত শর্মা।
সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে যা জানালেন পাপন
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে সব ঠিক থাকতে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে মাঠে ফিরবেন দেশসেরা এই তারকা ক্রিকেটার। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি এবং ক্রীড়ামন্ত্রী নাম নাজমুল হাসান পাপন।
গেল বিপিএলের শুরুটা ভালো না হলেও দুর্দান্তভাবে কামব্যাক করেছিলেন সাকিব। লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখলেও দ্বিতীয় টেস্ট খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে চান এই টাইগার অলরাউন্ডার। যার জন্য বিসিবি সভাপতি ও বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর কাছে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন সাকিব।
এক সাক্ষাৎকারে পাপন বলেন, পরিচালকদের নাকি বলেছে সে (সাকিব) দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে। এখানেও এসেছিল । বলল যে, খেলতে চাচ্ছে। ওর নিজেরও একটু বোঝা দরকার। কী অবস্থা ফিটনেসের। দুই একটা ম্যাচ না খেললে বলা যাচ্ছে না। এটা নির্ভর করছে ওর ওপরে। ওর ফিটনেসের কী অবস্থা সেটার ওপর।
প্রথম টেস্টের আগে ইনজুরিতে পড়েছে মুশফিকুর রহিম। তাই দলে ব্যাটিং ঘাটতিও রয়েছে। এ ছাড়াও সাকিব দলে যোগ হলেও বোলিং শক্তিও বাড়বে। সব কিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্বিতীয় টেস্টেই মাঠে ফিরছেন সাকিব। এরই মধ্যে সবুজ সংকেতও দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি। লঙ্কানদের বিপক্ষে অলরাউন্ডার সাকিবকে চায় বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, যদি সব কিছু ঠিক থাকে, দ্বিতীয় টেস্ট খেলার সম্ভাবনা খুব বেশি ওর। কারণ এই টেস্ট ম্যাচটা যে খেলবে আমাদের তো প্লেয়ার-ই পাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত, তামিম, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদের মতো খেলোয়াড় আমাদের বাংলাদেশে নাই। এর মধ্যে কঠিন সাকিব হওয়া। কারণ ও ব্যাট না হয় বল, একটা না একটা দিয়ে অবদান রাখবে।
সম্প্রতি রাজনীতির মাঠের নানা বিতর্ক ঘিরে ধরেছে সাকিবকে। সেই বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে একটু প্রশান্তি কুড়ানোর জন্য হয়তো দ্রুতই মাঠে ফিরতে চান সাকিব। আগামী ৩০ মার্চ চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সব ঠিক থাকলে সেই দিনই মাঠে নামবেন টাইগার পোস্টার।
২ টেস্ট, ৩ টি-টোয়েন্টি খেলতে ভারতে যাবে বাংলাদেশ
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত সফর করবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুটি টেস্ট এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
আগামী জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এর পরই ভারত সফর করবে লাল-সবুজেরা। ভারত সফরের দিনক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সূত্র।
বিসিবি সূত্র জানিয়েছে, এই সফরে বাংলাদেশ দলকে প্রায় এক মাস ভারতে থাকতে হবে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় এই সফর ১৫ অক্টোবর শেষ হবে। দীর্ঘ এই সময়ে ভারতের সঙ্গে দুটি টেস্ট এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এটি ২০২৪ সালের এফটিপি অন্তর্ভূক্ত সফর।
এর আগে, সবশেষ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের মাটিতে খেলেছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে সময় কেটেছে সাকিব-লিটনদের। তবে ওয়ানডে মহারণের পরপরই নতুন উদ্যমে নিজেদের খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম ও অ্যাওয়ে ভেন্যুতে এসেছে স্মরণীয় সব জয়। এরপর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দ্বিতীয়বার ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে শান্তর দল।
এদিকে লঙ্কানদের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ শেষে ঘরের মাঠেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যুতে পাড়ি জমাবে চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। সেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবে। এরপরই শুরু হবে টাইগার ২০ ওভারের বৈশ্বিক মহারণের অভিযান।
অন্যদিকে আইপিএলে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন ভারতের ক্রিকেটাররা। ঘরোয়া এই টুর্নামেন্ট শেষেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লড়াইয়ে নেমে পড়বে ম্যান ইন ব্লুরা।
শোচনীয় হারের পর আরও এক দুঃসংবাদ পেলো টাইগাররা
সিলেট টেস্টে লঙ্কানদের বিপক্ষে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে টাইগাররা। ৩২৮ রানের ব্যবধানে হেরেছে শান্ত-মিরাজরা। এরপর আরও এক দুঃসংবাদ পেয়েছে বাংলাদেশ দল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের জায়গা হারিয়েছে তারা। তালিকার চার থেকে সাতে অবনমন হয়েছে টাইগারদের। অন্যদিকে, বিশাল জয়ে তলানি থেকে ছয়ে ওঠে এসেছে শ্রীলঙ্কা।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে লঙ্কানদের দেওয়া ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মাত্র ১৮২ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। এতে চতুর্থ দিনে এসে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩২৮ রানে হারে বাংলাদেশ দল। প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। যেখানে শ্রীলঙ্কা তাদের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ২৮০ ও ৪১৮ রান করে।
ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণ টেস্ট। তবে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এই টেস্টই ছিল সবার চেয়ে পিছিয়ে। ওয়ানডেতে বিশ্বকাপের পাশাপাশি ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। টি-টোয়েন্টির জন্য ছিল বিশ্বকাপ। সঙ্গে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর তো নিয়মিত দর্শক টানছে শর্টার এই ফরম্যাটে। বাকি ছিল টেস্ট। সেটাকেও প্রতিযোগিতার মোড়কে এনেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)।
আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চলছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। তবে আইসিসির নিয়মের কারণেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নতুন এক রঙ পেয়েছে। বেশি টেস্ট খেলা দলগুলো বাড়তি সুবিধা যেন না পায়, সেই ভাবনায় এখানে পয়েন্টের বদলে বিবেচনায় আনা হচ্ছে পয়েন্ট শতাংশের হিসেব।
আর তাতেই জমে উঠেছে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই। প্রতিনিয়ত রদবদল হচ্ছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষস্থান। এই মুহূর্তে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তালিকার শীর্ষে আছে ভারত। এখনও অবধি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রে ৯টি ম্যাচ খেলে ৬টিতে জিতেছে ভারত। দুটি হার ও এক ড্র। ভারতের পয়েন্ট ৭৪। পয়েন্টের শতাংশ ৬৮.৫১।
এ ছাড়া দুইয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। ১২টি টেস্টের মধ্যে ৮টিতে জিতেছেন তারা। তিনটি ম্যাচ হেরেছেন। আর একটি ড্র হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৯০। তাদের পয়েন্টের শতাংশ ৬২.৫০। এ ছাড়াও ৬ ম্যাচে তিন জয় নিয়ে সেরা তিনে আছে নিউজিল্যান্ড। সেরা এই তিন দলের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে শীর্ষস্থান দখল করা নিয়ে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়ম অনুযায়ী, একেকটি দল প্রতিটি জয়ের জন্য ১২ পয়েন্ট, টাই করলে ৬ পয়েন্ট ও ড্র করলে ৪ পয়েন্ট করে পায়। হারলে কোনো পয়েন্ট যোগ হয় না। আর মন্থর ওভার রেটের শাস্তি হিসেবে পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়।
পেসার নাহিদ রানার ‘শূন্য’র বিশ্ব রেকর্ড
বোলারদের জন্য ব্যাট হাতে রান করাটা পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্বোধ্য কাজই বটে। এমন অনেক উদাহরণই আছে। এবার ব্যাট হাতে এমন লজ্জার বিশ্ব রেকর্ডই গড়লেন টাইগার পেসার নাহিদ রানা।
২০২১-২২ মৌসুমের জাতীয় লিগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই পেসারের অভিষেক হয়। সেবার রাজশাহীর হয়ে খেলেছিলেন তিনি।
১৬ ম্যাচের ক্যারিয়ারে মোট ২১ ইনিংসে ব্যাট হাতে ২২ গজে নেমেছিলেন তিনি। তবে মাত্র তিন ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পেরেছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে করেছেন মাত্র ১১ রান।
এবার সিলেট টেস্টে অভিষেকে দুই ইনিংসেও রানের খাতা খোলা হয়নি এই পেসারের। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৮ বলে ০ রানে অপরাজিত থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসের অষ্টম বলেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি। ফলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই নিয়ে টানা ১৮ ইনিংসে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন ২১ বছর বয়সী এই পেসার।
এই তালিকার দুইয়ে আছেন ২২৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা ইংল্যান্ডের মার্ক রবিনসন। ১৯৯০ সালে টানা ১২ ইনিংসে রান করতে পারেননি তিনি।
এই তালিকায় যৌথভাবে তিনে আছেন তিনজন। তারা হলেন- পাকিস্তানের ফয়সাল ইয়াসিন, লঙ্কান মোহাম্মদ দিলশাদ এবং আরেক বাংলাদেশি খালেদ আহমেদ।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে টানা রানহীন ইনিংসের মালিক :
ইনিংস ব্যাটসম্যান দেশ মৌসুম
১৮ নাহিদ রানা বাংলাদেশ ২০২২/২৩–২০২৩/২৪
১২ মার্ক রবিনসন ইংল্যান্ড ১৯৯০
১১ ফয়সাল ইয়াসিন পাকিস্তান ২০১৩/১৪–২০১৪/১৫
১১ মোহাম্মদ দিলশাদ শ্রীলঙ্কা ২০১৪/১৫–২০১৬/১৭
১১ খালেদ আহমেদ বাংলাদেশ ২০২১/২২–২০২২
মোস্তাফিজের উপর আনা গাঙ্গুলীর অভিযোগকে ভুল প্রমাণ করলেন ধোনি
গত বছর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বিশেষ বিমানে করে মোস্তাফিজকে আইপিএল খেলতে নিয়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ধারণা করা হয়েছিল, দিল্লির জার্সিতে নিয়মিত সুযোগ পাবেন এই টাইগার পেসার। কিন্তু বাস্তবতা ছিল তার উল্টোটা। ফিজকে একাদশে সুযোগ না দেওয়ার কারণ হিসেবে ফিল্ডিং ডিরেকশনের ঘাটতিকে দায়ী করেছিলেন দিল্লির মেন্টর সৌরভ গাঙ্গুলী।
সৌরভ বলেছিলেন, মোস্তাফিজের ফিল্ডিং ডিরেকশনে ঘাটতি আছে। কারণ, প্রায় সময়ই দেখা যায় ওর বলে খোঁচা মেরে চার হচ্ছে, ক্যাচ মিস হচ্ছে, এক রানের জায়গায় দুই রান হচ্ছে। কিন্তু ঠিক জায়গায় ফিল্ডিং সাজানো থাকলে এমনটা হতো না। এই দিক দিয়ে তাকে উন্নতি করতেই হবে।
তবে চলতি আইপিএলে চেন্নাইয়ের ম্যাচে দেখা গেল বিপরীত চিত্র। উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো একজন থাকার কারণেই কি না রীতিমত বদলে গেলেন দ্য ফিজ। চেন্নাইয়ের ইনিংসে ফিজ আর ধোনির এমন রসায়ন মনে ধরেছে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মাঝেও।
ধোনি আর মোস্তাফিজের এমন রসায়ন নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক কিউই পেসার মিচেল ম্যাকলেনাঘান। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে চেন্নাইয়ের দাপুটে জয়ের পর তিনি বলেন, ধোনিকে দেখে অনেক নির্ভার মনে হয়েছে। মোস্তাফিজ যখন বোলিং এলো, ধোনিকে নানা কিছু জিজ্ঞেস করছিল। চেন্নাই ও ভারতের ক্রিকেটকে এভাবেই দিনের পর দিন ধোনি সার্ভিস দিয়ে আসছে।
গত দুই ম্যাচেই ধোনি একাধিকবার বোলিং এর সময় কথা বলেছেন মুস্তাফিজের সঙ্গে। বিষয়টি মনে ধরেছে রোহান গাভাস্কারের। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি বলেন, এক হলো নিজের অভিজ্ঞতা, আরেকটা দলের অভিজ্ঞতা। সে ধোনির সাথে পরামর্শ করছে। ভাই, আমার মনে হয় এই পিচে এভাবে করলে ভালো। সাথে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে।
মোস্তাফিজের সাফল্য নিয়ে তিনি আরও বলেন, ভ্যারিয়েশনেই মোস্তাফিজ বাজিমাত করছে। কোন ভ্যারিয়েশন, কীভাবে করছে এসবের উপর নির্ভর করে। প্রথম ম্যাচ বা এই ম্যাচে মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স হলো অভিজ্ঞতার খেলা।
বেঙ্গালুরুর রেকর্ড ভেঙে আইপিএলে হায়দ্রাবাদের ইতিহাস
চলতি আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে জয়ের কাছে থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে। ৪১২ রানের ম্যাচে কলকাতার কাছে ৪ রানে হেরেছিল তারা। তবে সেই হারের ক্ষোভ যেনো উগড়ে দিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে। সেই সঙ্গে আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ডও গড়েছে কামিন্সের দল।
বুধবার (২৭ মার্চ) আগে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে পাহাড় সমান ২৭৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে হায়দ্রাবাদ। এর আগে আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ২৬৩ রানের। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে করা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সেই রেকর্ড ১১ বছর টিকেছিল। সেই ম্যাচে ১৭৫ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছিলেন ক্রিস গেইল।
মুম্বাইয়ে বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন অজি তারকা ব্যাটার ট্রাভিস হেড। ১৩ বলে ১১ রানকে মায়াঙ্ক আউট হলে হেডকে সঙ্গ দেন অভিষেক শর্মা। দুজনেই ফিফটি তুলে নেন। হেড ৬২ রান এবং শর্মা ২৩ বলে ৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আউট হন।
এরপর এইডেন মারক্রামকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বাইয়ের বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করেছে হেইনরিচ ক্লাসেন। ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেন এই তারকা ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত মারক্রামের ২৮ বলে ৪২ রান এবং ক্লাসেনের ৩৪ বলে টর্নেডো ইনিংসে ভর করে ২৭৭ রানের ইতিহাস গড়া পুঁজি পায় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে হার্দিক পান্ডিয়া, জেরাল্ড কোয়েটজি এবং পিয়ুস চাওলা একটি করে উইকেট নেন।