• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শেষ বলে জয় তুলে নিল ভারত

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৩৬

শেষ বলে ম্যাচ জিততে ১ রান প্রয়োজন ছিলো ভারতের। বাংলাদেশের অফ-স্পিনার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বলে ১ রান নিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন ডান-হাতি ব্যাটসম্যান কেদার যাদব। ফলে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের ১৪তম আসরের শিরোপা জিতে নেয় ভারত। শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে ২২২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। লিটন ১১৭ বলে ১২১ রান করেন।

জয়ের জন্য ২২৩ রানের খেলতে নেমে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। প্রথম ৪ ওভারে ২৪ রান যোগ করেন এই দুই ওপেনার। পঞ্চম ওভারের প্রথম তিন বল থেকে ১১ রানও নিয়ে বাংলাদেশ বোলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন রোহিত ও ধাওয়ান। তবে ঐ ওভারের চতুর্থ ধাওয়ানের পথে বাঁধা হয়ে দাড়ান বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম। মিড-অফে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৩টি চারে ১৪ বলে ১৫ রান করেন ধাওয়ান।

তিন নম্বরে নামা আম্বাতি রাইদুকে ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। ৭ বলে ২ রান করে ফিরেন রাইদু। দলীয় ৪৫ রানে রাইদুকে হারানোর পর দিনেশ কার্তিককে নিয়ে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার রোহিত। দেখেশুনে খেলতে থাকেন রোহিত ও কার্তিক। ফলে দলীয় সংগ্রহ শতরানের দিকে এগিয়ে যায় ভারতের। তবে দলীয় ৮৩ রানে রোহিতকে শিকার করে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরার সুযোগ করে দেন রুবেল হোসেন। ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৫৫ বলে ৪৮ রান করেন রোহিত।

অধিনায়ককে হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন কার্তিক ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। ম্যাচের লাগাম নিজেদের দিকে নেয়ার চেষ্টা করেন কার্তিক ও ধোনি। নিজেদের পরিকল্পনায় সফলও হন তারা। উইকেটে সাথে মানিয়ে নিয়ে সহজেই রান জড়ো করছিলেন কার্তিক ও ধোনি। তাই এই জুটিতে ভাঙ্গন ধরাতে অস্থির হয়ে উঠেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। শেষমেষ মাহমুদুল্লাহ অধিনায়ককে চিন্তা মুক্ত করেন। কার্তিককে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন মাহমুুদুল্লাহ। ১টি করে চার ছক্কায় ৬১ বলে ৩৭ রান করেন কার্তিক।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : গল্পটা হতে পারতো অন্যরকম
-------------------------------------------------------

কার্তিককে তুলে নিয়েই দমে যায়নি বাংলাদেশ। মিডল-অর্ডারে ভারতের প্রধান ভরসা ধোনিকেও প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। কাটার ডেলিভারিতে ধোনিকে বোকা বানান ফিজ। ৩টি বাউন্ডারিতে ৬৭ বলে ৩৬ রান করেন ধোনি। ফলে ১৬০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় ভারত।

ধোনিকে বিদায়ের কিছুক্ষণ পর পায়ের ইনজুরিতে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন কেদার যাদব। ফলে লোয়ার-অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান রবীন্দ্র জাদেজা ও ভুবেনশ্বর কুমার লড়াই শুরু করেন। বাংলাদেশ বোলারদের সামনে নিজেদের সেরাটা দেয়া চেষ্টা করেন তারা। সিঙ্গেলসের উপরই বেশি নির্ভর করেন জাদেজা ও ভুবেনশ্বর। ফলে ম্যাচ জয়ের পথেই হাটতে থাকে ভারত। শেষ ৪ ওভারে ১৮ রান দরকার পড়ে টিম ইন্ডিয়ার।

৪৭তম ওভারে ৫ রান তুলে নিয়ে ভারতকে জয়ের পথেই রাখেন জাদেজা ও ভুবেনশ্বর। তবে ৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জাদেজাকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্র্রু এনে দেন ডান-হাতি পেসার রুবেল হোসেন। ১টি চারে ৩৩ বলে ২৩ রান করেন জাদেজা।

এরপর ব্যাট হাতে নামেন ২০ বলে ১৯ রান নিয়ে আহত অবসর নেয়া যাদব। তবে ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে ভুবেনশ্বরকে তুলে নিয়ে দারুনভাবে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান মুস্তাফিজুর। ঐ ওভারে মাত্র ৩ রান দেন ফিজ। এতে শেষ ওভারে ৬ রান প্রয়োজন পড়ে ভারতের।

শেষ ওভারে বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে আসেন মাহমুদুল্লাহ। প্রথম দু’বল থেকে ২ রান নেন যাদব ও কুলদীপ। তৃতীয় বলে ২ রান নেন কুলদীপ। চতুর্থ বলে কোন রান দেননি মাহমুদুল্লাহ। ফলে শেষ দুই বলে ২ রান দরকার পড়ে ভারতের। পঞ্চম বলে ১ রান নেন কুলদীপ। এরপর শেষ বলে ১ রান নিয়ে ভারতকে শিরোপার স্বাদ দিয়েছেন যাদব। ১টি চার ও ছক্কায় ২৭ বলে অপরাজিত ২৩ রান করেন যাদব। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন কুলদীপ। বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইবেট নেন মুস্তাফিজুর ও রুবেল এবং ১টি করে উইকেট নেন নাজমুল-মাশরাফি-মাহমুদুল্লাহ। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের লিটন। সিরিজ সেরা হন ভারতের ধাওয়ান।

আরও পড়ুন :

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপের ভাবনা থেকে বাদ পড়লেন যে দুই ওপেনার!
X
Fresh