‘ট্রফি একটা এসে গেছে, আরেকটা আসছে’
এবছরের ১০ জুন বাংলাদেশের ক্রিকেটের একটি স্মরণীয় দিন। এদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটে সালমা-জাহানারা-রুমানারা ইতিহাস গড়েছিলেন। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো কোনও শিরোপা ঘরে তোলে তারা। তিন মাসের ব্যবধানে আরো একটি এশিয়া কাপ। এবারও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। তবে এখানে জাহানারা-সালমারা নন শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে লড়বেন মাশরাফি-মুশফিকরা।
বাংলাদেশ আজকেরটি নিয়ে বহুজাতিক কোনও টুর্নামেন্টের মোট ছয়টি ফাইনালে উঠলো।এর মধ্যে এশিয়া কাপেই রয়েছে তিনটি।আগের পাঁচটি ফাইনালে কান্নাকে সঙ্গী করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে। মূর্তিমান পাথরের মতো দাঁড়িয়ে থেকে দেখতে হয়েছে ট্রফি নিয়ে প্রতিপক্ষের শিরোপা উল্লাস। তাই ফাইনাল মঞ্চ থেকে এবার আর খালি হাতে ফিরুক এমনটা চান না টাইগ্রেসরা। ফাইনাল মঞ্চে মাঠে নামার আগে মাশরাফি-মুশফিকদের জন্য শুভকামনা জানিয়ে মেয়েদের বিশ্বাস তারাও এবার সফল হবে।
ফাইনালের চাপ কতটা তা আর কেউ না জানুক অন্তত মাশরাফি জানেন। তাই রোমাঞ্চকর ফাইনালকে সামনে রেখে টাইগ্রেস অধিনায়ক সালমা খাতুন বলেন, মেয়েদের এশিয়া কাপে আমরা প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছিলাম। সেটি জিততেও পেরেছি। ভাইয়েরা এমন অনেক ম্যাচ শেষ দিকে গিয়ে সামান্য ব্যবধানে হেরে গেছেন। ফাইনালে একটু তো চাপ থাকেই। মাশরাফি-মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ ভাই আছেন, তারা নিশ্চয়ই ট্রফি জেতার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে যারা তরুণ আছে তাদের সিনিয়রদের সঙ্গে অবদান রাখতে হবে। তারা নিজেদের কাজটি করতে পারলে আমি বলব এশিয়া কাপ আমরা জিতবোই। আমাদের নারী দলের পক্ষ থেকে মাশরাফি ভাইদের জন্য শুভকামনা।
টাইগ্রেস পেসার জাহানারা আলম বলেন, মেয়েদের এশিয়া কাপের শুরুতে ভাবতে পারিনি ফাইনালে উঠব। যখন উঠলাম তখন ভেবেছিলাম একটু ভালো খেললে জিততে পারব। মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, এবার দুটি এশিয়া কাপের ট্রফি আসবে দেশে। একটা এসে গেছে, আরেকটা আসছে। চ্যাম্পিয়ন হতে আসলে ভাগ্যও লাগে। আমাদের দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে তারা নিয়মিত খেলে। ভালো খেললে সবাই মাথায় তুলে রাখবে, খারাপ করলে মাটিতে নামিয়ে দেবে। আমরা সব সময়ই চাই বাংলাদেশ জিতবে, আনন্দের উপলক্ষে তৈরি হবে।
আরও পড়ুন :