• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আফগান ক্রিকেটের গল্প

শরণার্থী শিবির থেকে অপ্রতিরোধ্য

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:৪১

নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ চলছিল। সেসময় আফগান-পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ক্রিকেটের হাতে খড়ি। সপরিবারে আফগানিস্তানে ফিরে ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও ক্রিকেট প্রেম থেকে দূরে যাননি। ২০০০ সালে রাজধানী কাবুলে পরিচয় হয় মোহাম্মদ শাহজাদ, আজগর আফগান ও শাপুর জাদরানদের সঙ্গে। সেখান থেকেই যাত্রা শুরু। চলতি বছর টেস্ট স্ট্যাটাস পাবার পর এশিয়া কাপে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন দেশটির ক্রিকেটাররা। আর শুরু থেকেই সব কিছুর সাক্ষী মোহাম্মদ নবী। শূন্য থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই মহাযাত্রা নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম টাইম অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে।

৩৩ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি প্রথমবারের মতো আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নাম শুনতে পাই। সেখান থেকেই আশাবাদী হয়ে উঠি। আফগান ক্রিকেটের জন্য সংগ্রাম করেছি আমরা। গেলো ১৮ বছরে সব কিছুর সাক্ষী আমি।

কোথা থেকে শুরু হলো এই যাত্রা? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, পেশোয়ারের শরণার্থী শিবিরে থাকতাম। স্কুলে-রাস্তায় সবাই ক্রিকেট খেলত। সেই থেকেই ক্রিকেটের সঙ্গে ভালোবাসা শুরু।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটির বেশির ভাগ ক্রিকেটারই অসচ্ছল পরিবার থেকে এসেছে উল্লেখ করে নবী বলেন, ভারত-পাকিস্তান থেকে ক্রিকেটের সরঞ্জাম কিনতাম আমরা। সবাই কিনতে পারতো না। আমার আর আসগরের (বর্তমান অধিনায়ক) পরিবার তুলনামূলক অবস্থাশালী ছিল। তাই পকেট খরচ বাঁচিয়ে তাদের সহযোগিতা করতাম।

১৯৯৫ সালে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) গঠন করার পর ২০০১ সালে অনুমোদিত সদস্য হয়। ২০০৯ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়। প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলে ২০১০ সালে। প্রথমবারের মতো ২০১৫ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলে তারা। পরের বছরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেয়। ২০১৭ সালে সহযোগী সদস্য, হবার পর ২০১৮ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস নিয়ে মূল সদস্য পদ লাভ করে আফগানরা।

আফগান ক্রিকেটের বিপ্লব ঘটানো এই তারকা বলেন, আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ধাপে ধাপে ক্রিকেট খেলে যখন আমরা এগিয়ে গেলাম। তখন আমাদের দেশের ক্রিকেট ভক্তরা এয়ারপোর্টে আসতে লাগল। মন্ত্রী-গণমাধ্যমকর্মীরা আমাদের অভ্যর্থনা জানাতো।

জাতীয় দল ছাড়াও বিশ্বের নানা প্রান্তে ব্যাট বলে নিজের জাত চিনিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি), মের্লবোন রেনেগেডস, চিটাগাং ভাইকিংস, পাকিস্তান কাস্টমস, কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস, সিলেট রয়্যালস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মতো দলগুলো হয়ে খেলেছেন নবী।

আফগানদের জার্সিতে ১০৬ ওয়ানডেতে নবীর রয়েছে ২ হাজার ৪৩৫ রান। সঙ্গে ১১৪টি উইকেট। ৬৫ টি-টোয়েন্টি খেলে ১ হাজার ১১৪ রানের পাশাপাশি তুলে নিয়েছেন ৬৭টি উইকেট।

প্রাথমিকভাবে নিজেরাই নিজেদেরকে রোল মডেল ভাবতাম উল্লেখ করে আফগানিস্তান ক্রিকেটের প্রথম পোস্টার বয় বলেন, আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। যাতে নতুনদের পথ আরও মসৃণ হয়। আমরা বারবার তাদেরকে নিজেদের জীবনে ঘটে যাওয়া কষ্টের ঘটনাগুলো বলতাম। যাতে তারা আমাদের দেখে অনুপ্রেরণা পায়।

ওয়াই/এএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপ আয়োজন করতে পারবে না ভারত-পাকিস্তান!
৪৫৫ রানের লিডে দিন শেষ করল শ্রীলঙ্কা
ভালো শুরুর পর ফিরলেন জয়
টাইগারদের আফগানিস্তান সফর স্থগিত
X
Fresh