শেষ-শুরুর প্রতিপক্ষ ভারত
২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষেই টেস্টে অভিষেক হয়েছিল অ্যালিস্টার কুকের। ২২ বছর বয়সী তরুণের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়েছিল পুরো ক্রিকেট দুনিয়া। ইংল্যান্ডের ক্যাপ মাথায় নেয়ার দিন ব্যাট হাতে যা দেখিয়েছিলেন, তা দেখে বোঝাই যাচ্ছিল শুরু হতে চলেছে এক নতুন অধ্যায়। নাগপুরের টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬০ বল খেলে ৬০ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন কুক। দ্বিতীয় ইনিংসে করেন অপরাজিত শতরান। ইনিংস খেলতে ২৪৩টি বল নিয়েছিলেন বাম-হাতি এই ওপেনার।
ইংল্যান্ড দলের সঙ্কট চলছিল চরমে। পুরান গৌরব হারিয়ে ইংলিশ দর্শকরাও স্টেডিয়াম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছিলেন। এমনই একটা সময়ই অভিষেক হয়েছিল কুকের। শৈল্পিক ব্যাটিং যেন নতুন এক আশার আলো নিয়ে এসেছিল ইংলিশ ক্রিকেটে।
ইংলিশ ক্রিকেটের নয়া ব্যাটিং কাণ্ডারিকে দেখতেই ফের ভিড় জমতে থাকে ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোতে। ইংল্যান্ডের দলের হাল ধরে পুরনো উচ্চতায় ফিরিয়ে আনা শুরু করেন কুক। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন দলটির প্রাণভোমরা।
৩৩ বছর বয়সী এই তারকা ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১৬০টি টেস্ট খেলেছেন। রান করেছেন ১২ হাজার ২৫৪। সর্বোচ্চ ২৯৪ রান রয়েছে ভারতের বিপক্ষে। ৩২টি সেঞ্চুরি ও ৫৬টি হাফ সেঞ্চুরিও রয়েছে এই তারকার। মোট গড় ৪৪.৮৮। স্ট্রাইক রেট ৪৬.৯৭।
ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ৯২টি। রান ৩ হাজার ২০৪। সর্বোচ্চ ১৩৭ রান পাকিস্তানের বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৪ম্যাচ খেলেছিলেন কুক। সর্বোচ্চ রান ২৬। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ২২৮টি ম্যাচ খেলেছেন কুক। করেছেন ২২ হাজার ৩৮৬ রান।
ভারতের বিপক্ষে চলতি সিরিজে আহামরি কিছুই করতে পারেননি কুক। ২০১৬ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ৪-০ তে টেস্ট সিরিজে হারের পরই অধিনায়ক পদ থেকে সড়ে দাঁড়ান।
কুকের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ভারত নামটা বরাবরই একটা গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। অভিষেকে যেমন ভারতের মাঠে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন তেমনি অধিনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার ক্ষেত্রেও ভারতের সঙ্গে হওয়া টেস্ট সিরিজ তাকে সাহায্য করেছিল।
আগামী শুক্রবার বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। ওই ম্যাচে নামার আগেই ক্রিকেট থেকে বিদায় নেয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। কুকের মতো এমন অসাধারণ ব্যাটসম্যানের অভাব পূরণ যেকোনও দলের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং, তা সবারই জানা।
আরও পড়ুন :
ওয়াই/পি
মন্তব্য করুন