বিদায় ইনিয়েস্তা
জার্মানি, আর্জেন্টিনা, পর্তুগালের পথ ধরেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে স্পেন। প্রথম তিনটি দলের মতো এই বারের অন্যতম ফেবারিট দল হিসেবে ধরা হয়েছিল স্পেনকেও। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই ছিটকে যেতে হলো ইউরোপের দলটিকে।
রোববার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষের ম্যাচে টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানের হারের পর জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন স্প্যানিশ তারকা আন্দ্রে ইনিয়েস্তা।
রোববার গোটা ম্যাচের ওপর যদি লক্ষ করা যায় তাহলে স্পেনের হারের কারণ হিসেবে উঠে আসবে খুব কম কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণ। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে এই রাশিয়ারকে হালকা ভাবে নেয়া। এই ম্যাচের প্রথম একাদশে দলে স্পেনের নতুন কোচ ফার্নান্দো হিয়েরোর রাখেননি ইনিয়েস্তাকে। দলের অন্যতম বড় সম্পদ প্রথম মিনিট থেকে না থাকার কারণে মাঝমাঠের দখল নিয়েও মাঝে মধ্যেই সেই দখল হারিয়ে ফেলছিল স্প্যানিয়ার্ডরা।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ার জয়
--------------------------------------------------------
দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে বার্সেলোনার এই কিংবদন্তিকে মাঠে নামার পর থেকে অনেকটাই বদল আসে স্পেনের আক্রমণে। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৭ মিনিটে প্লে-মেকার ইনিয়েস্তার আগমনই পরিস্কার করে দেয় তিনি যদি প্রথম থেকেই থাকতেন তাহলে আরও বেশি করে আক্রমণ তুলে আনতে পারত স্পেন।
১-১ গোলে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় শেষ হলে ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়। দলের হয়ে প্রথম শটটি ৩৪ বছর বয়সী এই তারকাই নেন। বর্ণিল ক্যারিয়ারের মতো শটটিও রাশিয়ান গোলকিপার ইগুর আকিনফিভকে পরাস্ত করে। তবে কোকে ও আসপাসের মিসে কারণে নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়।
বিশ্বকাপের একুশতম আসর থেকে ছিটকে যাবার পরই চট জলদি অবসরের ঘোষণাও দিয়ে দেন গ্রান্ডমাস্টার।
ডন আন্দ্রে খ্যাত এই তারকা বলেন, স্পেনের জার্সিতে এটাই আমার শেষ ম্যাচ ছিলো। বিস্ময়কর সময় শেষ হলো। কখনও কখনও শেষটা তোমার স্বপ্নের মতো হবে না।
২০০৬ সালে অভিষেকের পর স্পেনের হয়ে ৯৬টি ম্যাচ খেলেছেন। সবমিলিয়ে মোট ১৩টি গোল করেছেন। ক্যারিয়ারে দুটি ইউরো ও একটি বিশ্বকাপ জয় করেন ইনিয়েস্তা।
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নেয় স্পেন। ওই ম্যাচে বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই মিডফিল্ডারের একমাত্র গোলেই প্রথমবারের মতো সোনালী ট্রফি ঘরে তুলে ইউরোপিয়ান জায়ান্টরা।
আরও পড়ুন :
ওয়াই/জেএইচ
মন্তব্য করুন