• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শিরোপা ধরে রাখতে মরিয়া পাওয়ার হাউজ জার্মানি

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ০৮ জুন ২০১৮, ১১:৫৭

'Die deutsche Fußballnationalmannschaft — উচ্চারণ: ডি ডয়েচ্‌ ফুসবালনাতশিওনালমানশাফট') হচ্ছে ১৯০৮ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে জার্মানির প্রতিনিধি। এটি নিয়ন্ত্রণ করে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (DFB) (Deutscher Fußball-Bund)। যা ১৯০০ সালের ২৮ জানুয়ারী লাইপজিগ শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।

প্রফেসর ডক্টর ফ্যার্ডিনান্ড হ্যুপে এর প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন৷ তাই জার্মান ফুটবল ফেডারেশন তার একশতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে দুই হাজার সালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যম৷ ১৯০৩ সালে লাইপজিগ দল প্রথম জার্মান ফুটবল চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে৷

১৯০৪ সালে ডিএফবি Federation Iunternationale de Football Association-FIFAতে যাগ দেয়৷ ১৯২৫ সালে জার্মান ফুটবল এসোসিয়েশন তার পঁচিশতম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে তার প্রতিষ্ঠাস্থল লাইপজিগ এ৷ অর্থনৈতিক কারণে জার্মানি প্রথম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি৷

১৯৩৪ সালে জার্মানি প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণ করে এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে৷ ১৯৩৬ সালে জার্মানি তার প্রার্থীপদ দাখিল করে ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের জন্য৷ কিন্তু ফ্রান্সের অনুকুলে তার প্রার্থীপদ শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করে নেয়৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়৷ যুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে জার্মান ফুটবল এসোসিয়েশন ডিএফবিকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়৷

১৯৫১ সালে এর অফিস ষ্টুটগার্ট থেকে ফ্রাংকফুর্ট মাইন এ স্থানান্তর করা হয়-যেখানে অফিসটি এখনো অবস্থিত৷ ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় Union of European Football Association-UEFA৷ ডিএফবি ছিল এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য৷ ১৯৬২ সালে ডিএফবি জার্মান ফুটবল লীগ-বুন্ডেস লীগা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ ১৯৬৪ সালে এফসি কোলন প্রথম জার্মান ফুটবল লীগ শিরোপা অর্জন করে৷ ১৯৭৪ সালে ডিএফবি ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজন করে এবং জার্মানি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয় ফাইনালে হল্যান্ডকে ২-১ গোলে পরাজিত করে৷ ১৯৭৫ সালে ডিএফবি এর পঁচাত্তরতম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়৷ ১৯৯৮ সালে ফ্রান্জ বেকেনবাওয়ার ডিএফবি এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন৷

১৯৫০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই দলটিকে পশ্চিম জার্মানি হিসেবে অভিহিত করা হতো। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ডিবিএফ মূলত ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানিকে কেন্দ্র করেই প্রতিষ্ঠিত হয়। আর এই ফেডারেল রিপাবলিককে ১৯৪৯ থেকে ১৯৫০ পর্যন্ত পশ্চিম জার্মানি হিসেবে ডাকা হতো। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপের পর ফিফার মাধ্যমে ডিবিএফ পশ্চিম জার্মানির ফুটবল দলের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তবে সেসময় জার্মানির পৃথক দলের অস্তিত্বও ছিলো, এবং সেগুলো ছিলো ফিফা দ্বারা স্বীকৃত। এর মধ্যে আছে সারাল্যান্ড দল (১৯৫০-১৯৫৬) ও পূর্ব জার্মানি ফুটবল দল (১৯৫২-১৯৯০)। পরবর্তীতে উভয় দলই বর্তমানের মূল দলের সাথে একত্রিত হয়। সেই সাথে ফিফার মাধ্যমে তাদের খেলা সংখ্যা, গোল, বিশ্বকাপ জয়, রেকর্ড, প্রভৃতি সবকিছু মূল জার্মানি দলের সাথে একত্রীকরণ করা হয়। ১৯৯০ সালে জার্মানি দলটির ফিফার প্রাতিষ্ঠানিক কোড ‘Germany FR’ (FRG) থেকে পরিবর্তিত হয়ে ‘Germany’ (GER) হয়।

দুই হাজার ছয় সালে জার্মান ফুটবল এসোসিয়েশন তার একশতম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে ঘটা করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে৷ সে সময় পর্যন্ত আনুমানিক সাতাশ হাজার ক্লাব ডিএফবি এর তালিকাভূক্ত ছিল এবং এর মোট সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ৬৩ লাখ৷ ইতোমধ্যে এই সংখ্যা আরো অনেক বেড়েছে৷ ফলে ডিএফবি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া সংস্থা৷ ডিএফবি এর প্রত্যক্ষ সদস্য নয় -এমন ফুটবলঅনুরাগীর সংখ্যাও জার্মানিতে প্রচুর৷ এ থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, জার্মানিতে ফুটবল অত্যন্ত জনপ্রিয়৷ শুধু জার্মানি কেন বিশ্বের আরো বহু দেশেও ফুটবল হচ্ছে জনপ্রিয় খেলা৷ তাই ফুটবলকে বলা হয়ে থাকে Football is a game without frontiers- ফুটবল হল এমন একটি খেলা- যার কোন সীমানা নেই- সীমান্তবিহীন খেলা৷

আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় অন্যতম সফল দল তিনটির মধ্যে জার্মানি একটি। এখন পর্যন্ত দলটি চারবার ফিফা বিশ্বকাপ শিরোপা ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা জয় করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি স্থিতিশীল ও ঠান্ডা মাথার দল হিসেবে ধরা হয়। চারবার করে শিরোপা জয়ের পাশাপাশি দলটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লীগের তিনবার ও বিশ্বকাপ ফুটবলে চারবার রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। সেই সাথে তারা চারবার বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলো। ১৯৭৬ সালে পূর্ব জার্মানি অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয় করে। ফুটবল ইতিহাসে জার্মানিই একমাত্র দেশ যারা পুরুষ ও নারী উভয় ফুটবল বিশ্বকাপে শিরোপা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে।

জার্মানি তাদের ফুটবল ইতিহাসে ১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে মোট চারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। ২০১৪ সালের ফাইনালে তারা অতিরিক্ত সময়ে করা মারিও গোটশের গোলে আর্জেন্টিনাকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে।

জার্মানির পক্ষে জাতীয় দলের হয়ে সর্বাধিক ম্যাচ খেলেন লোথার ম্যাথিউজ (১৫০)টি। সর্বাধিক গোলদাতা হলেন মিলোস্লোভ ক্লোজ (৭১)টি।

ডাকনাম

:

ডাই ম্যানশ্যাফট, (ওরা এগারো জন)

অ্যাসোসিয়েশন

:

জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন

কনফেডারেশন

:

উয়েফা (ইউরোপ)

হেড কোচ

:

জোয়াকিম লো

অধিনায়ক

:

ম্যানুয়াল ন্যুয়ার

সর্বাধিক ম্যাচ

:

লোথার ম্যাথিউস (১৫০)

সর্বাধিক গোলদাতা

:

মিরোস্লোভ ক্লোজ (৭১)

হোম ভেন্যু

:

অলিম্পিয়া স্টেডিয়াম, জার্মানি

বর্তমান র‌্যাংকিং

:

০১

সেরা সাফল্য

:

চ্যাম্পিয়ন ১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০, ২০১৪

বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ

:

১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৫৪, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৭০, ১৯৭৪, ১৯৭৮

১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০, ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২, ২০০৬, ২০১০, ২০১৪

সেরা খেলোয়াড়

:

টনি ক্রুস

এএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইতালিয়ান ফুটবল সাম্রাজ্যে ইন্টার মিলান
টিভিতে আজকের খেলা
ক্রিকেট-ফুটবলকে টপকে দেশসেরার খেতাব অ্যাথলেটিকসের
ইনজুরি কাটিয়ে ফিরছেন বাংলার ফুটবলের রক্ষণসেনা
X
Fresh