• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

অভিশাপের কারণেই শিরোপা ছাড়া আর্জেন্টিনা!

স্পোর্টস ডেস্ক

  ৩০ মে ২০১৮, ২০:৩৫

আর্জেন্টিনা সোনালী ট্রফিটা সবশেষ ছুঁয়ে দেখেছে সেই ১৯৮৬ সালে। এরপর ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে একেবারে কাছ থেকে ঘুরে এসেছে। তারপরও তা ছুঁয়ে দেখা হয়নি। চোখের পানিতে বিসর্জন দিতে হয়েছে শিরোপার স্বপ্ন। দুইবারেই ১-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছিল জার্মানির কাছে। ৮৬ বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার শিরোপা ক্ষরার কারণ জানা গেলো কিছুদিন আগে। ভার্জিন অব কোপাকাবানর অভিশাপেই নাকি শিরোপা মিলছে না আলবেসিলিস্তেদের। এমনটাই মনে করে সেখানকার স্থানীয়রা।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আর্জেন্টিনার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে একটা ছোট্ট গ্রাম তিলকারা। যে গ্রামে ১৯৮৬ সালের জানুয়ারি মাসে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শিবির করেছিল কার্লোস বিলার্দোর দল। যে সময় পুরো গ্রামটিতে একটিমাত্র টেলিফোন ছিল। টিভি খুঁজলেও পাওয়া যেত না। আন্দিজ পর্বতমালায়, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আড়াই হাজার মিটার উচ্চতায় ওই গ্রামে শিবির করার একটাই কারণ ছিল। মেক্সিকোর উচ্চতায় খেলার প্রস্তুতি নেয়া।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : রিয়ালের নতুন জার্সিতে নেই রোনালদো!
--------------------------------------------------------

সেই প্রস্তুতি শিবির চলাকালীনই বিলার্দোর কানে আসে একটি উপকথা। ওই গ্রামের একটি মাত্র চার্চে 'ভার্জিন অব কোপাকাবানা'র মূর্তি আছে। গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করেন, ওই মূর্তির সামনে যদি কিছু মানত করা হয়, তা হলে তা পূরণ হয়। আবার কোনও প্রতিশ্রুতি দিলে, সেটিও রক্ষা করতে হয়। না হলেই বিপদ। ৩২ বছর আগের সেই ঘটনার কথা এখনও মনে আছে স্থানীয় মানুযের।

আর্জেন্টিনার একটি ওয়েবসাইটে অতীতের সেই কাহিনি তুলে ধরেছেন ডেভিড গর্দিলো নামের জনৈক গ্রামবাসী। সে সময় ২৫ বছর বয়স ছিল গর্দিলোর। আর্জেন্টিনার সেই দলের সঙ্গে অনুশীলনও করতেন তিনি। এক বার ফুটবলারদের কাছে এই দেবী মুর্তির ক্ষমতার কথা বলেছিলেন গর্দিলো। তারপর ফুটবলাররা নাকি প্রতিশ্রুতি দেন, কোনোভাবে বিশ্বকাপ জিততে পারলে তারা আবার তিলকারায় ফিরে 'ভার্জিন অব কোপাকাবানা'কে ধন্যবাদ দিয়ে যাবেন।