• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দ্বিতীয় মেয়াদে আইসিসির হট সিটে শশাঙ্ক মনোহর

স্পোর্টস ডেস্ক

  ১৬ মে ২০১৮, ১২:৪১

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয় মেয়াদে আবারো আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শশাঙ্ক মনোহর। ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন। আইসিসি বোর্ডে তিনিই একমাত্র মনোনয়নপ্রত্যাশি হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ই নির্বাচিত হচ্ছেন।

এবার মনোহরের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে শোনা যাচ্ছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইলস ক্লার্কের নাম। ক্লার্কের জন্য মনোহর সরে দাঁড়াবেন বলেও আলোচনা ছিল। কিন্তু ক্রিকেট রাজনীতির খেলায় গত কয়েক মাসে বদলে যায় প্রেক্ষাপট। নিজ দেশের বর্তমান বোর্ডের কাছ থেকে সমর্থন পাননি ক্লার্ক। তাতে অন্যান্য বোর্ডও আর আস্থা রাখতে পারেনি তার ওপর।

আইসিসি মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মনোহরই ছিলেন আইসিসি বোর্ডের মনোনীত একমাত্র প্রার্থী। ফলে নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি। যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল জুনে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে।

আইসিসির নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুযায়ী, আইসিসির প্রত্যেক পরিচালক একজন করে প্রার্থী মনোনয়নের অনুমতি পান, যে প্রার্থীকে অবশ্যই বর্তমান অথবা সাবেক পরিচালক হতে হবে। দুই বা ততোধিক পরিচালকের মনোনীত প্রার্থীই কেবল যোগ্যতা পান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার। গতবারের মতো এবারও প্রার্থীই ছিলেন একজন। নির্বাচন প্রক্রিয়া দেখভালের দায়িত্ব ছিল যার, সেই স্বাধীন অডিট কমিটির চেয়ারম্যান এডওয়ার্ড কুইনল্যান মনোহরকে জয়ী ঘোষণা করেন।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আগুয়েরোকে বার্সায় আমন্ত্রণ জানালেন মেসি
--------------------------------------------------------

২০১৬ সালের মে মাসে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসির প্রথম স্বাধীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সাবেক সভাপতি মনোহর। কিন্তু ছয় মাসের মাথায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা জানান।

পরে আইসিসির বোর্ড সদস্যদের অনুরোধে দায়িত্ব চালিয়ে গেলেও মেয়াদের প্রথম বছর শেষ হওয়ার পর সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন মনোহর। সেই সদস্যরা আবার তাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানালে এই বছরের জুন পর্যন্ত দায়িত্বে থেকে যান তিনি।

দায়িত্ব নেয়ার পর গত দুই বছরে আইসিসিতে চোখে পড়ার পরিবর্তন এনেছেন মনোহর।
প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই আইসিসিতে ‘বিগ থ্রি’ বা ‘তিন মোড়ল’ নীতি বাতিলে সচেষ্ট ছিলেন মনোহর। শেষ পর্যন্ত যে ‘বিগ থ্রি’ বাতিল হয়, এর বড় কৃতিত্ব তারই।

এছাড়াও গর্ভনিং কাঠামোও পরিবর্তনসহ আইসিসিতে প্রথম স্বাধীন নারী পরিচালক নিয়োগ এবং খেলাটার বিশ্বায়নে আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতো সদস্যদের টেস্ট মর্যাদা দেয়াসহ নানা সিদ্ধান্ত এসেছে তার হাত ধরে।

দ্বিতীয় দফায় আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর মনোহর বলেন, গত দুই বছরে একসঙ্গে আমরা অনেক বড় পদক্ষেপ নিয়েছি৷ দায়িত্ব নেওয়ার সময় যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তার সবই পূরণ করতে পেরেছি৷ আগামী দুই বছরে সকল সদস্যকে নিয়ে একটা সার্বিক পরিকল্পনা তৈরির দিকে পা বাড়াতে চাই৷ ক্রিকেটকে আরো উপভোগ্য ও পরিচ্ছন্ন করে তোলার কাজে আশা করি সবাইকে পাশে পাব।

ক্রিকেটকে বিশ্বের কাছে আরও উপভোগ্য করে তুলতে আগামী দুই বছরেরও কর্মপরিকল্পনা মাথায় থাকছে মনোহরের। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, আগামী দুই বছরে আমরা আমাদের সদস্যদের সঙ্গে এক হয়ে বৈশ্বিক পরিকল্পনা নিয়ে এগুবো। যাতে এই খেলার উন্নতি করতে পারি এবং আরও মানুষকে ক্রিকেট উপভোগের জায়গা করে দিতে পারি। খেলাটা এখন ভালো পর্যায়েই আছে। তবে এর অভিভাবক হিসেবে আমাদের এটা ধরে রাখার জন্য কাজ করে যেতে হবে।

উল্লেখ্য, খ্যাতিমান এই ভারতীয় আইনজীবী দুই মেয়াদে ছিলেন ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) চেয়ারম্যান। ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে, এরপর জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর পর ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে পরের বছরের মে পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে। ওই দ্বিতীয় মেয়াদের সময় ভারতীয় বোর্ডের মনোনয়নে ছিলেন আইসিসির চেয়ারম্যানও। এর পর ২০১৬ সালের মে মাসে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আইসিসির প্রথম স্বাধীন চেয়ারম্যান।

আরও পড়ুন :

এএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি সুব্বা রাও আর নেই
যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের দায়িত্বে বাংলাদেশের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক কোচ
হাথুরুসিংহের ঢাকায় ফেরা নিয়ে যা জানাল বিসিবি
দলে ফেরা প্রসঙ্গে শান্তকে যা বলেছেন তামিম
X
Fresh