তবু স্মৃতিচারণে আসছেন গর্ডন গ্রিনিজ
৬৭ বছর বয়সী গর্ডন গ্রিনিজের আফসোস মাত্র একটা দিনের। এই একটা দিনে যদি সব ঠিক থাকতো তবে এই ক্যারিবীয় কোচকে হয়তো আর বরখাস্ত হতে হতো না। ১৯৯৬ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে। শেষটা হয়েছিল ৯৯ এর বিশ্বকাপে গিয়ে।
বাংলাদেশের মতো একটা দল যখন পাপুয়া নিউগিনি কিংবা কানাডার মতো দলের কাছে হারতে হারতে ন্যুব্জ ঠিক সে সময়ই দূতের মতো আসেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই তারকা।
গ্রিনিজের তত্ত্বাবধানেই পালটে যাবার আভাস দিয়েছিল সে সময়ের আকরাম-নান্নুরা। গ্রিনিজ আসার পরের বছর ১৯৯৭ তে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফির ফাইনালে কেনিয়াকে হারিয়ে প্রথমবার যোগ্যতা অর্জন করে বিশ্বকাপে খেলার। তখনকার বাংলাদেশ সরকার খুশি হয়ে গ্রিনিজকে নাগরিকত্ব দেন এদেশের। যে জয় এক করে দিয়েছিল গোটা জাতিকে। বদলে দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটকে, স্বপ্ন দেখিয়েছিল সামনে এগিয়ে যাওয়ার।
কিন্তু ঘটনা ছিল ভিন্ন। গ্রিনিজ চুপ থেকে দলকে টেনে নেন ১৯৯৯ এর বিশ্বকাপ পর্যন্ত। নর্দাম্পটনে বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায়। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই বিদায় দেয়া হয় গ্রিনিজকে। কি এমন খারাপ করেছিলেন টাইগারদের কোচ। যার জন্য বিশ্বকাপের মতো আসরে ম্যাচ শুরুর আগে বরখাস্ত হতে হয়! গ্রিনিজের এমন বিদায় মেনে নিতে পারেনি অনেক ক্রিকেট খেলুড়ে দেশও।