প্লে-অফের আশা নিভে গেল মুস্তাফিজদের
দুই দল এক জায়গাতে দাঁড়িয়ে থেকেই পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল কাল। সমীকরণ ছিল এমন এই ম্যাচে যে হারবে তার টুর্নামেন্টে থাকার আশা নিভে যাবে। কারণ পরবর্তী ম্যাচগুলোতে টানা জয়লাভ করা কঠিন হয়ে পড়বে। কাল রাতে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১৪ রানে পরাজয়ে প্লে-অফে খেলার আশা কার্যত শেষই।
এ পরাজয়ের ফলে সমীকরণ এমন হয়ে দাঁড়ালো বাকি যে ৬ ম্যাচ হাতে আছে সেগুলোতে শুধু জিতলেই হবে না। অন্যান্য দলের পরাজয়ও কামনা করতে হবে রোহিত শর্মার দলকে। আর বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠে এসে আশা বাঁচিয়ে রেখেছে।
মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে মুস্তাফিজকে মূল একাদশের বাহিরে রেখে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। মনন ভোহরা সর্বোচ্চ ৩১ বলে করেন ৪৫ রান। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ২৫ বলে করেন ৩৭ এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলি ২৬ বলে করেন ৩২ রান।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : সালাহের লিভারপুলের মুখোমুখি এএস রোমা
--------------------------------------------------------
মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের পক্ষে হার্দিক পান্ডিয়া ৩টি, মায়াঙ্ক মারকান্দে ১টি, জাসপ্রীত বুমরাহ ১টি ও মিচেল ম্যাকক্লেঘান ১টি করে উইকেট নেন।
১৬৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মুম্বাইয়ের শুরুটা খুবই বাজে হয়। ৩.২ ওভারেই ২১ রানে ৩ উইকেট হারায় দলটি। ওপেনার ইশান কিষানের পর রোহিত শর্মা ০ রানে আউট হন। বেঙ্গালুরুর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ম্যাচটা নিজেদের করে নেয় তখনই।
হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটে লড়ার চেষ্টা করেছে মুম্বাই। জে পি ডুমিনির সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। এর আগে ডুমিনি ও পোলার্ড গড়েন ২৬ রানের জুটি। দুই ভাই হর্দিক পান্ডিয়া ও ক্রুনাল পান্ডিয়া ষষ্ঠ উইকেটে ৫৬ রান যোগ করেন। তবে এই রান জেতার জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। মুম্বাইয়ের পক্ষে হার্দিক পান্ডিয়া সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন।
বেঙ্গালুরুর পক্ষে টিম সাউদি, উমেশ যাদব ও মোহাম্মদ সিরাজ ২টি করে উইকেট নেন। দীর্ঘদিন পর ব্যাঙ্গালুরুর বোলাররা একসঙ্গে সঠিকভাবে জ্বলে উঠতেই এ ম্যাচে জয় পায়।
এ নিয়ে লিগে ৮ ম্যাচে তৃতীয় জয় পেল ব্যাঙ্গালুরু। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলেছে। তবে তাদের জয় ২টি, পয়েন্ট ৪।
আরও পড়ুন :
এএ
মন্তব্য করুন