• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

১১ মৌসুম পর অ্যাটলেটিকোকে বিদায়

স্পোর্টস ডেস্ক

  ১০ এপ্রিল ২০১৮, ১৮:২৫

২০০১ সালের ২৭ মে ভিসেন্তে ক্যালদেরনে লেগানেসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অ্যাথলেটিকোর হয়ে অভিষেক হয় টরেসের। এর ৬ হাজার ১৬১ দিন পর কাল দ্বিতীয়বারের মতো ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দিলেন। দুই স্পেলে অ্যাথলেটিকোতে কাটালেন ১১ মৌসুম। এই সময়ে খেলেছেন ছয়টি ভিন্ন প্রতিযোগিতায়।

মাত্র ১১ বছর বয়সে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের ট্রায়ালে সুযোগ পেয়েছিলেন। এমনি এমনিই পাননি। রায়োর হয়ে এক মৌসুমেই ৫০ গোল করেছিলেন। সে সুবাদেই ট্রায়ালে সুযোগ পাওয়া। সেই ট্রায়ালে সবার চেয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে সুযোগ করে নিলেন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। শৈশবের সেই ক্লাবকে অবশেষে বিদায় জানালেন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের স্প্যানিশ তারকা ফার্নান্দো টরেস। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদায়ের ঘোষণা দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তোরেস বলেন, অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে এটিই আমার শেষ মৌসুম। এটা খুব সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না, কিন্তু বাস্তবতা এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটিই সেরা সিদ্ধান্ত। মেনে নিয়েছি যে, আমি দলের হয়ে তেমন কোন পারফরম্যান্স করতে পারছিলাম না। এজন্য অন্যদের সুযোগ করে দিতে আমি সরে যাচ্ছি।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন কামিন্স
--------------------------------------------------------

আবেগতাড়িত হয়ে ১৯ বছর বয়সেই অ্যাথলেটিকোর অধিনায়কের আর্মব্যান্ড হাতে দেয়া টরেস বলেন, দ্বিতীয়বারের মত দলকে বিদায় জানানো খুব কষ্টের। কারণ আমি চেয়েছিলাম, এখানে খেলেই অবসর নিতে; কিন্তু সবকিছু আপনার পক্ষে হয় না সবসময়ে। আমি এখনো শারীরিক এবং মানসিকভাবে খেলার জন্য প্রস্তুত। হয়তো অন্য কোথাও আরো বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবো।

৩৪ বছর বয়সী টরেস বর্তমান মৌসুমে লাল-সাদা মাদ্রিদের হয়ে মাত্র ৩টি ম্যাচে প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়া ১৭টি ম্যাচে তিনি বেঞ্চ থেকে বদলি হিসেবে খেলেন। মৌসুমে লিগে মাত্র ২টি গোল করেছেন। এইবারের বিপক্ষে অ্যাথলেটিকোর ঘরের মাঠের শেষ ম্যাচে তোরেসকে শ্রদ্ধা এবং সম্মানের সাথে শেষ বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়েছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

অ্যাথলেটিকোতে খেলেই নিজেকে বিশ্বমঞ্চে চিনিয়েছিলেন তোরেস। শৈশবের ক্লাবের হয়ে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৩৯৩ ম্যাচ। এর মধ্যে জিতেছেন ১৮৬টি, ড্র হয়েছে ১০১টি এবং হেরেছেন ১০৬টি। শুরুর একাদশে ছিলেন ২৯৯ ম্যাচে। এই ৩৯৩ ম্যাচে টরেস গোল করেছেন ১২৬টি। প্রথম গোলটি করেন দ্বিতীয় বিভাগে আলবাস্তের বিপক্ষে। সবশেষ গোলটি করেছেন সম্প্রতি ইউরোপা লিগে মস্কোর বিপক্ষে।

এই সময়ে তিনি ৬৬ ভিন্ন দলের মুখোমুখি হয়েছেন। এর মধ্যে গোল করেছেন ৪০ দলের বিপক্ষে। সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন বার্সেলোনার বিপক্ষে, ৩১ ম্যাচে ১০ গোল। আর এই সময়ে টরেস সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন ১৩৪ জন ভিন্ন খেলোয়াড়কে। সবচেয়ে বেশি ১৭৪ ম্যাচে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন গাবির সঙ্গে।

অ্যাথলেটিকোতে মোট আট কোচ তাকে কোচিং করিয়েছেন। তারা হলেন- বর্তমান কোচ দিয়েগো সিমিওনে, লুইস অ্যারাগনস, গ্রিজরিও মানজানো, হাভিয়ের আগুইরে, বিয়ানচি ও পেপে মুরচিয়া। এখন আর সর্বোচ্চ ১১ ম্যাচ খেলতে পারেন টরেস। ৪০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক ছুঁতে পারবেন? লা লিগায় গোলের সেঞ্চুরি করতে প্রয়োজন আর মাত্র একটি গোল।

দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৫ সাল থেকে খেলার আগে ২০০১-০৭ সাল পর্যন্ত প্রথম ৭ বছরে অ্যাথলেটিকোতে নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময় পার করেছিলেন ‘এল নিনো’ খ্যাত টরেস। সেখান থেকে লিভারপুলে যোগ দিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা পার করেন। কোন ট্রফি জিততে না পারলেও সে সময়টায় গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে।

সেখান থেকে চেলসিতে গেলে মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখা শুরু করেন টরেস। তখন থেকে নিজের পারফরম্যান্সের অবনতিতে খেই হারিয়ে ফেলেন স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এই ফুটবলার। চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ইউরোপা লিগও জিতেছেন তিনি। ক্যারিয়ার সবচেকে বড় সাফল্য পেয়েছেন স্পেনের জার্সি গায়ে। দুটি ইউরো কাপ জেতার পাশাপাশি জিতেছেন বিশ্বকাপও। বিশেষ করে, ২০০৮ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তার একমাত্র গোলেই জার্মানিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। স্প্যানিশ জয়যাত্রা তো শুরু হয়েছিল সে থেকেই!

আরও পড়ুন :

এএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইতালিয়ান ফুটবল সাম্রাজ্যে ইন্টার মিলান
টিভিতে আজকের খেলা
ক্রিকেট-ফুটবলকে টপকে দেশসেরার খেতাব অ্যাথলেটিকসের
ইনজুরি কাটিয়ে ফিরছেন বাংলার ফুটবলের রক্ষণসেনা
X
Fresh