• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কোয়ার্টারের বৃত্ত পার হতে চায় সুইসরা

স্পোর্টস ডেস্ক

  ২২ মার্চ ২০১৮, ১৫:৫৪

সুইস জাতীয় ফুটবল দল জাতীয় দল হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী দল। সুইস ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক দলটি পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। এ পর্যন্ত তিনবার (১৯৩৪, ১৯৩৮ ও ১৯৫৪) ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্বে পৌঁছতে পেরেছে তারা। ১৯৫৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশের মর্যাদা পেয়েছিল সুইজারল্যান্ড। এছাড়াও, ১৯২৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ফুটবলে রৌপ্যপদক জয় করেছিল সুইস দল। তবে, যুবদল সবচেয়ে বেশী সফলতা লাভ করেছে।

সুইজারল্যান্ডের ফুটবলে ইতিহাসে স্মরণীয় সাফল্য হিসেবে রয়েছে অলিম্পিকে রৌপ্যপদক অর্জন করা। ১৯২৪ সালের অলিম্পিকের ফাইনালে তারা উরুগুয়ের কাছে ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।

১৯৩৪ সালে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে। কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছলেও চেকোস্লোভাকিয়ার কাছে পরাজিত হয়। ১৯৩৮ সালে তারা পুনরায় কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে ও হাঙ্গেরির কাছে পরাভূত হয়। ১৯৫৪ সালে সুইজারল্যান্ড বিশ্বকাপে স্বাগতিক দেশের মর্যাদা পায় ও তৃতীয়বারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে। কিন্তু প্রতিবেশী অস্ট্রিয়া’র কাছে ৭-৫ গোলে হেরে যায়। এছাড়াও, দলটি ১৯৫০, ১৯৬২ ও ১৯৬৬ সালে প্রথম-রাউন্ডেই বিদায় নেয়।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জয়ী স্প্যানিশ তারকার ৫ বছরের জেল
--------------------------------------------------------

১৯৯৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের উয়েফা - গ্রুপ ১ এর বাছাই পর্বের বাঁধা পেরিয়ে ২৮ বছর পর প্রথম বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে যায়। রোমানিয়াকে পরাজিত করে ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ড্র করে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত করে। কিন্তু স্পেনের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরে যায়।

২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ দল কোন গোল না করলেও প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের। ১৬-দলীয় রাউন্ডে ইউক্রেনের কাছে পেনাল্টি শুটআউটে পরাজিত হয় ও বিশ্বকাপের ইতিহাসে রেকর্ড গড়ে। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় খেলায় চিলির বিপক্ষে ৭৪ মিনিট পর্যন্ত প্রতিপক্ষ কর্তৃক কোনও গোল না খাওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে।

১৯৯২ সালে ইংরেজ ম্যানেজার রয় হজসন দলে নিয়োগ পান। এ সময় সুইজারল্যান্ড ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে তাদের সর্বোচ্চ স্থান লাভ করে। ১৯৯৬ সালে উয়েফা ইউরো বাছাই-পর্বে প্রথমবারের মতো অংশ নেয়। উয়েফা ইউরো’র চূড়ান্ত পর্বে ম্যানেজার হজসনের পরিবর্তে পর্তুগিজ আর্থার জর্জ তার স্থলাভিষিক্ত হন। গ্রুপ পর্বে সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন স্থান অধিকার করে।

পর্তুগালে অনুষ্ঠিত ২০০৪ সালের উয়েফা ইউরো চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বাছাই-পর্বে দলটি রাশিয়া ও আয়ারল্যান্ড দলকে পিছনে রেখে গ্রুপ ১০-এ শীর্ষস্থান অর্জন করেছিল। চূড়ান্ত পর্বে ক্রোয়েশিয়ার সাথে ০-০ ড্র এবং ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সাথে যথাক্রমে ০-৩ ও ১-৩ ব্যবধানে হেরে গ্রুপ-বিতে সর্বনিম্ন স্থান দখল করে। যোহন ফনল্যান্থেন ফ্রান্সের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করে ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার মর্যাদা লাভ করেন। তিনি তিন মাস আগে গড়া ওয়েন রুনি’র তুলনায় মাত্র চার দিনের ব্যবধান গড়ে এ রেকর্ড স্থাপন করেন।

ডাকনাম

:

সুইজার নাটি

অ্যাসোসিয়েশন

:

সুইস ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন

কনফেডারেশন

:

উয়েফা (ইউরোপ)

হেড কোচ

:

ভ্লাদিমির পেটকোভিক

অধিনায়ক

:

স্টেফেন লিচেস্টাইনার

সর্বাধিক ম্যাচ

:

হেইঞ্জ হারম্যান (১১৮)

সর্বাধিক গোলদাতা

:

আলেক্সানডার ফ্রে (৪২)

হোম ভেন্যু

:

স্ত্যাদে ডি সুইস

বর্তমান র‌্যাংকিং

:

বেস্ট রেজাল্ট

:

১৯৩৪, ১৯৩৮ ও ১৯৫৪ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল

বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ

:

১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৫৪, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৯৪, ২০০৬, ২০১০, ২০১৪, ২০১৮

সেরা খেলোয়াড়

:

গ্রানিথ জাকা

আরও পড়ুন:

এএ/ওয়াই

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইতালিয়ান ফুটবল সাম্রাজ্যে ইন্টার মিলান
টিভিতে আজকের খেলা
ক্রিকেট-ফুটবলকে টপকে দেশসেরার খেতাব অ্যাথলেটিকসের
ইনজুরি কাটিয়ে ফিরছেন বাংলার ফুটবলের রক্ষণসেনা
X
Fresh