• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মড্রিচ-রাকিটিচের হাত ধরে সাফল্যের আশা

স্পোর্টস ডেস্ক

  ২১ মার্চ ২০১৮, ০৮:৫৪

ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় ফুটবল দল হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রতিনিধিত্ব করছে। ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ পরিচালনা পরিষদ ক্রোয়েশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক দলটি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৪ সালের মধ্যবর্তী সময়কালে ফিফা স্বীকৃতপ্রাপ্ত দল হিসেবে ব্যানোভিনা অব ক্রোয়েশিয়া এবং স্বাধীন রাষ্ট্র ক্রোয়েশিয়া ঊনিশটি প্রদর্শনী ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করেছিল।

কিন্তু ১৯৪৫ সালে ক্রোয়েশিয়া যুগোস্লাভিয়ার সাথে একীভূত হলে দলটি বিলুপ্ত হয়। ১৯৪৫ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে ক্রোয়েশিয়া পৃথক দল হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশগ্রহণ করেনি। তখন ক্রোয়েশীয় খেলোয়াড়েরা যুগোস্লাভিয়া জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে অংশগ্রহণ করে।

যুগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভের পরেই আধুনিককালের ক্রোয়েশীয় দল ১৯৯১ সালে গঠন করা হয়। এরপর ১৯৯৩ সালে ফিফা ও উয়েফা’র সদস্যপদ লাভ করে ক্রোয়েশিয়া ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো বড় ধরনের প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশ নিয়ে তারা তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করে ও ১৯৯৬ সালের উয়েফা ইউরো প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।

১৯৯৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় দলটি। প্রতিযোগিতায় তারা তৃতীয় স্থান লাভ করে বিশ্ব ফুটবলে সাড়া জাগায়। দলের পক্ষে ডেভর সুকার শীর্ষ গোলদাতার ভূমিকায় অধিষ্ঠিত হন ও বিশ্বকাপের সোনার বুট লাভ করেন। এরপর থেকেই ক্রোয়েশিয়া দল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাসমূহে নিয়মিতভাবে অংশ নিলেও ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ও ২০০০ সালের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে পারেনি।

নিজেদের মাঠের অধিকাংশ খেলাই জাগরেবের ম্যাকসিমির স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও খেলার মূল্যমান অনুযায়ী স্প্লিতের পোলজাড স্টেডিয়ামসহ রিজেকার স্টেডিওন কানত্রিদা কিংবা অসিজেকের স্টেডিওন গ্রাদস্কি ভিআরটিতে অনুষ্ঠিত হয়।

তন্মধ্যে ম্যাকসিমির স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতামূলক ৩৬ খেলায় দলটি অপরাজিত ছিল। এ ধারাবাহিকার অবসান ঘটে ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে।

১৯৯৪ ও ১৯৯৮ সালে ফিফা কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বছরের সেরা অগ্রসরমান দলের মর্যাদা পায় ও পুরস্কৃত হয়। এ তালিকায় কলম্বিয়া দলও দুইবার স্থান পেয়েছিল। শুরুতে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ক্রোয়েশিয়ার অবস্থান ছিল ১২৫তম। কিন্তু ১৯৯৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করে ও র‌্যাংকিংয়ে তৃতীয় স্থানে চলে আসে যা ফিফা র‌্যাংকিংয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে পরিবর্তনশীল দলে রূপান্তরিত হয়।

যেভাবে রাশিয়া বিশ্বকাপে
ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। তবে প্লে-অফে দাপট দেখিয়ে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের মূল পর্বে টিকিট পায় দেশটি। গ্রিসের বিপক্ষে দুই লেগের অ্যাগ্রিগেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জ্লাটকো ডেলিচের শিষ্যরা।

বিশ্বকাপে এ নিয়ে পঞ্চমবার খেলতে যাচ্ছে ক্রোয়েশিয়া। এর আগে ১৯৯৮, ২০০২, ২০০৬ ও ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলেছিলো দলটি। ১৯৯৮ সালে সর্বপ্রথম বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েই আসরটির তৃতীয়স্থান দখল করেছিল ক্রোয়েশিয়া।

ডাকনাম

:

ভেটরেনি

অ্যাসোসিয়েশন

:

ক্রোয়েশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন

কনফেডারেশন

:

উয়েফা (ইউরোপ)

হেড কোচ

:

জ্লাটকো ডেলিচ

অধিনায়ক

:

লুকা মড্রিচ

সর্বাধিক ম্যাচ

:

দারিজো স্মা (১৩৪)

সর্বাধিক গোলদাতা

:

ডেভর সুকার (৪৫)

হোম ভেন্যু

:

ম্যাকসিমির জাগরেব

বর্তমান র‌্যাংকিং

:

১৫

বেস্ট রেজাল্ট

:

১৯৯৮ বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান

বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ

:

১৯৯৮, ২০০২, ২০০৬, ২০১৪ ২০১৮

সেরা খেলোয়াড়

:

লুকা মড্রিচ

এএ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল শনিবার
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট ‘গিনেস বুকে’ স্থান পাবে : প্রতিমন্ত্রী
টিভিতে আজকের খেলা
‘ফুটবলের উজ্জ্বল তারকারা অবশ্যই ফর্মে ফিরবে’
X
Fresh