ফাইনালে লঙ্কান ক্রিকেট প্রেমীদের সমর্থন চান সাকিব
নিদাহাস ট্রফির অঘোষিত সেমিফাইনালে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শেষ ওভারে লেগ আম্পায়ার ‘নো’ দিলেও সেটাকে শেষ পর্যন্ত ‘নো বল’ দেয়া হয়নি। আর সেই মুহূর্তে উত্তেজিত টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান চলে আসলেন মাঠের বাউন্ডারি লাইনে।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দুই দেশের ক্রিকেটাররাই অগোছালো। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের কিন্তু এরকম ম্যাচের টানটান উত্তেজনার জন্য দায়ী আম্পায়ার।
আর এই বিষয়টি মেনে না নিতে পেরেই সাকিবের এমন আচরণ। রাগান্বিত ও উত্তেজিত সাকিব দলকে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসতেও বলেন।
লঙ্কান পেসার ইসরু উদানার ওই ওভারটি চলাকালে কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সাইডলাইন থেকে ড্রেসিং রুমে চলে যান সাকিব। ফের শুরু হয় খেলা। ৪ বলে ১২ রান দরকার ছিল। এক বল হাতে থাকতেই লঙ্কানদের কাঁদিয়ে ম্যাচটি নিজেদের করে নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। জয়ে মেতে ওঠে দল।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: টাইগারদের প্রতি অমিতাভের সম্মান
--------------------------------------------------------
আগামীকাল রোববার ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাঠে নামবে তামিম-মাহমুদুল্লাহরা।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক হিসেবে এমনভাবে আচরণে ভুল স্বীকার করেছেন সাকিব। এসময় ফাইনালে লঙ্কান ক্রিকেট প্রেমীদের সমর্থনও চান বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
এসময় তিনি বলেন, ‘মাঠে অনেক কিছুই হয়েছে যেটা উচিত হয়নি। প্রথমে বলব, অবশ্যই আমার শান্ত থাকা উচিত ছিল। একটু বেশিই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম হয়তো। আবেগ ও উত্তেজনা মিলিয়ে ওরকম হয়ে গেছে। আমি জানি কীভাবে আচরণ করতে হয়। পরের বার থেকে অবশ্যই আরও সতর্ক থাকব।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) মধ্যে শুরু থেকেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। পাশাপাশি দুই দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যেও সম্পর্ক জোরালো।
এনিয়ে সাকিব বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি খেলায় এর চেয়ে বেশি প্রত্যাশা করা ঠিক না। প্রতি মুহূর্তেই উত্তেজনা, আবেগ। মাঝে মাঝে আবেগ চড়ে বসে। তবে দলের অধিনায়ক হিসেবে সতর্ক থাকবো। মাঠে সব সময়ই আমরা শক্ত প্রতিযোগী। তবে বাইরে কিন্তু আমরা সবাই বন্ধু।’
অন্যদিকে জয় শেষে কিন্তু শ্রীলঙ্কাকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন সাকিব। তার মতে, ‘কৃতিত্ব দিতে গেলে শ্রীলঙ্কাকেই দিতে হয়। কারণ ওরা দ্রুত ৫ উইকেট হারিয়ে বসে খেই হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা স্নায়ুর চাপে থেমে যায়নি।’
আরও পড়ুন:
ওয়াই/এমকে
মন্তব্য করুন