• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মরক্কোর বাজির ঘোড়া মেহেদি বেনাটিয়া

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১০ মার্চ ২০১৮, ১০:১৯

রাশিয়া বিশ্বকাপে যে সাতটি মুসলিম দেশ অংশগ্রহণ করছে তাদের একটি মরক্কো। আয়াতনে বাংলাদেশের ৩ গুন হলেও জনসংখ্যায় মাত্র সাড়ে তিন কোটি। জিডিপিতে আফ্রিকার মধ্যে পঞ্চম। আটলান্টিক মহাসাগর ঘেঁষা এই দেশটি দেখতে খুবই সুন্দর। ইংল্যান্ডের মতো রাজতন্ত্র ও সংসদীয় গণতন্ত্র। বর্তমান রাজা নাম “মোহাম্মাদ ৬”। রাবাত মরক্কোর রাজধানি হলেও কাসাব্লাঙ্কা সবচেয়ে বড় শহর। অন্যান্য শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মারাক্কেশ।

মরক্কোনরা এই শহরটিকে সাজিয়েছে পর্যটকদের জন্য। পুরো শহরের ভবনগুলো একই রঙের লাল। প্রশস্ত রাস্তা এবং রাস্তার দুইধারে কমলালেবুর মতো দেখতে সিট্রাস ঝুলে আছে গাছে। সবচেয়ে আকর্ষনীয় হলো ঘোড়ার গাড়ি ও জামা আ ফানা স্কয়ার। এই স্কয়ারে সাপুড়িদের বাশি, হকারদের হাকডাক খুবই উপভোগ্য। পাশে আছে ১২ শতকের তৈরি “কুতুবিয়া” মসজিদ। ৭৭ মিটার লম্বা মিনারা দেখতে খুবই আকর্ষনীয়। মাজহাবের জন্য এরা যোহরের আযান দুই বার দিয়ে দুই জামাআত পড়ে।

১৯৭০ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলেছিল মরক্কো। সে থেকে ফুটবলবিশ্ব চেনে এই দেশটিকে। এরপর ১৯৮৬ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে চমক লাগিয়ে দেয় আফ্রিকার এই দেশটি। ইংল্যান্ড, পোল্যান্ডের মতো দলকে ধরা খাইয়ে দেয় তার। দুই দলের বিপক্ষেই গোলশূন্য ড্র করে মরক্কো। এখানেই শেষ নয় পর্তুগালকে ৩-২ গোলে উড়িয়ে দেয় তারা। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ‘এফ’ গ্রুপ থেকে নেদারল্যান্ডকে ২-১ গোলে পরাজিত করে মরক্কো। ৯৮’র ফ্রান্স বিশ্বকাপে খেলে দলটি। সে বছর গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে ১ জয় ১ হার আর ১ ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় মরক্কোবাসীকে। দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেল মরক্কো। 'সি' গ্রুপে কোত দি ভোয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে রাশিয়ার টিকিট হাতে পায় মরক্কো।

বর্তমান দল কেমন
শেষ চার বিশ্বকাপে মাঠে ছিল না মরক্কো। দীর্ঘ এই সময়ে বেশ কিছু প্রতিভা জোগাড় করেছে দেশটি। জুভেন্টাসের সেন্টার ব্যাক মেহেদি বেনাটিয়া রয়েছেন মরক্কোতে। এছাড়া উইঙ্গার নাবিল দিরার, আশরাফ লাজার, ইউসেফ আল আরাবি, হামিদ, ওমর আল কাদুরি এবং নরদিন আমারবাত। রাশিয়া বিশ্বকাপে এ ক’জন ফুটবলার প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: এশিয়ান গেমসের বাছাইয়ে জিমিদের দুর্দান্ত সূচনা
--------------------------------------------------------

প্রধান কোচ
২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মরক্কো দলকে কোচিং করান দেশটির সাবেক ফুটবলার ইজজাকি। এরপর ইজজাকিকে বাদ দিয়ে কোচের দায়িত্ব দেয়া হয় সাবেক ফরাসি ডিফেন্ডার হেরভে রেনার্ডকে। একটা জায়গায় রেনার্ড সফল। কোচিং ক্যারিয়ারে তার অধীনে আফ্রিকার দুটি দেশ ‘আফ্রিকা কাপ অব নেশনস’ শিরোপা শোকেস পুরেছে।

ডাকনাম

:

এটলাস লায়ন্স

অ্যাসোসিয়েশন

:

ফেডারেশন রয়েল মরোক্কান ডি ফুটবল

কনফেডারেশন

:

আফ্রিকা

সাব কনফেডারেশন

:

উয়েফা

হেড কোচ

:

হেরভে রেনার্ড

অধিনায়ক

:

মেহেদি বেনাটিয়া

সর্বাধিক ম্যাচ

:

নুরুদ্দিন নায়বাত (১১৫)

সর্বাধিক গোলদাতা

:

আহমেদ ফারাজ (৪২)

হোম ভেন্যু

:

স্টেট ডি মারাক্কাস

বর্তমান র‌্যাংকিং

:

৪২

বেস্ট রেজাল্ট

:

১৯৮৬ বিশ্বকাপে নক আউট পর্ব

বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ

:

১৯৭০, ১৯৮৬, ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০১৮

সেরা খেলোয়াড়

:

আরও পড়ুন:

এএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
২০২৬ বিশ্বকাপে জার্মানির কোচ নাগেলসমান
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল শনিবার
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট ‘গিনেস বুকে’ স্থান পাবে : প্রতিমন্ত্রী
টিভিতে আজকের খেলা
X
Fresh