• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাশিয়া বিশ্বকাপ-২০১৮

রাশিয়া মাতাবে সালাহর মিশর

স্পোর্টস ডেস্ক

  ০৭ মার্চ ২০১৮, ২০:৩২

রাশিয়া বিশ্বকাপে সাতটি মুসলিম দেশ অংশগ্রহণ করছে। যাদের মধ্যে মিশর একটি। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, মিশর ছিল যুদ্ধবিদ্ধস্ত এক দেশের নাম। পশ্চিমা দানবদের প্রত্যক্ষ মদদে গৃহযদ্ধে টালমাটাল পুরো দেশের সার্বিক পরিস্থিতি!

এক মুহূর্তের নিরাপত্তাই যেখানে নেই, স্বাভাবিক জীবন যেখানে পুরোপুরি বিপর্যস্ত সেখানে ফুটবল শব্দটাও মাথায় আনা অনেক কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

ঠিক এই সময় মিশর ফুটবল দলের সাফল্যটা যেন মিশরীয়দের কাছে অনুপ্রেরণার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে দাঁড়াবে! যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ব্রত, সেই দেশ যেনো উজ্জীবিত হলো তাদের জাতীয় ফুটবল দলের সফলতায়।

এর আগে দুইবার বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পায় মিশর। ১৯৩৪ সালের ইতালি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে হাঙ্গেরিকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে দেয় পিরামিডের দেশটি। এরপর ৫৬ বছর পেরিয়ে যায়।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারেন ওয়ার্নার
--------------------------------------------------------

দীর্ঘ ৫৬ বছর পর ১৯৯০ বিশ্বকাপে সেই ইতালির মাটিতেই চমক দেখায় মিশর। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস এবং আয়ারল্যান্ডকে জিততে দেয়নি দলটি। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করে পরাজিত হয় মিশর। এরপরই আবার হারিয়ে যায় তারা। তবে দুইবারই প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পরে তারা।

বর্তমান দল কেমন
সর্বশেষ ২০১০ সালের ‘আফ্রিকা কাপ অব নেশনস’ শিরোপা জিতেছে মিশর। যেটা ছিল মিশরের সপ্তম নেশনস কাপ শিরোপা। একই বছর বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব পার হতে পারেনি মিশর। আলজেরিয়ার কাছে প্লে-অফ পরীক্ষায় ফেল করে বিশ্বকাপ স্বপ্ন নিঃশেষ হয়ে যায় তাদের।

২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের মূল মঞ্চেও উঠতে পারেনি মিশর। বাছাইপর্বে ঘানার কাছে খুব বাজেভাবে হেরে বিদায় নেয় দলটি। মাঝে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যার প্রভাব পড়ে দেশটির ফুটবল অঙ্গনে। যেটা অনেক পিছিয়ে দেয় মিশরকে। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে নাম লেখাল মিশর।

আলেকজান্দ্রিয়ার বুর্গ আল আরব স্টেডিয়ামে কঙ্গোকে ২-১ গোলে হারিয়ে রাশিয়ার টিকিট কাটে আফ্রিকার এই দল। বর্তমানে তাদের দলে একাধিক তারকা খেলোয়াড় আছে। যারা মিশরের বিভিন্ন লিগে দাপিয়ে বেড়ান। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে নজরে থাকবেন মিশরের কয়েকজন ফুটবলার। এরা হলেন-সালাহ, সাঈদ, আহমদ হাসান ও মাহমুদ।

প্রধান কোচ
২০১৫ সালে মিশরের কোচের দায়িত্ব পান হেক্টর কুপার। কোচিং ক্যারিয়ারে ভ্যালেন্সিয়া, ইন্টার মিলান, রিয়াল বেতিসের মতো ক্লাবে কোচের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া ২০০৮-২০০৯ মৌসুমে জর্জিয়ার ফুটবলকে নতুন মাত্রা দেন হেক্টর।

সর্বাধিক ম্যাচ খেলা খেলায়াড় হলেন আহমেদ হাসান ১৮৪টি। দেশের হয়ে সর্বাধিক গোল করে হোসেম হাসান ৭১টি।

ডাকনাম

:

ফারাও

অ্যাসোসিয়েশন

:

মিশর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন

কনফেডারেশন

:

আফ্রিকা

সাব কনফেডারেশন

:

উয়েফা

হেড কোচ

:

হেক্টর কুপার

অধিনায়ক

:

ইশাম আল হাদারি

সর্বাধিক ম্যাচ

:

আহমেদ হাসান (১৮৪)

সর্বাধিক গোলদাতা

:

হোসাম হাসান (৭১)

হোম ভেন্যু

:

বুর্জ আল আরব স্টেডিয়াম

বর্তমান র‌্যাংকিং

:

৪৩

বেস্ট রেজাল্ট

:

আফ্রিকা কাপ অব নেশনস (১০) বার

বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ

:

১৯৩৪, ১৯৯০ ও ২০১৮

সেরা খেলোয়াড়

:

মোহাম্মদ সালাহ

আরও পড়ুন:

এএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইতালিয়ান ফুটবল সাম্রাজ্যে ইন্টার মিলান
টিভিতে আজকের খেলা
ক্রিকেট-ফুটবলকে টপকে দেশসেরার খেতাব অ্যাথলেটিকসের
ইনজুরি কাটিয়ে ফিরছেন বাংলার ফুটবলের রক্ষণসেনা
X
Fresh