বছরের প্রথম ইনিংসে ৫১৩
বছরের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫১৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় দিনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২৯.৫ ওভারে সবক’টি উইকেট হারায় তারা। এতে সপ্তমবারের মতো দলীয় পাঁচশর বেশি রান করলো টাইগাররা। বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩৮ রান লঙ্কানদের বিপক্ষেই। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দলটির বিপক্ষে ৫০০ রান পেরুলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭৬ রান করেছেন মুমিনুল হক। এছাড়া অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ করেছেন অপরাজিত ৮৩ রান। এদিকে লঙ্কানদের হয়ে রঙ্গানা হেরাথ ও সুরঙ্গা লাকমাল নেন ৩টি করে উইকেট।
জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার দিনের তৃতীয় ওভারে হেরাথের বলে ১৭৫ রানে থামেন মুমিনুল। শর্ট লেগে থাকা কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় অসাধারণ এই ইনিংসটি। ২১৪ বলের এই ইনিংসটি বাংলাদেশের ব্যক্তিগত ষষ্ঠতম সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
তিন ওভার পর ফের আঘাত হানেন ডান-হাতি স্পিনার হেরাথ। ১৫ বলে ৮ রান করা মোসাদ্দেক হোসেনকে ফেরান তিনি। দলীয় ৪১৭ রানে মাঠ ছাড়তে হয় ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজকে। ১৯ বলে ২০ রান করে রান আউট হন তিনি।
লাঞ্চ থেকে ফেরার পর ৫৬ বলে ২৪ রানে আউট হন অভিষিক্ত সানজামুল ইসলাম। লাকসান সান্দাকানের বলে স্ট্যাম্পিং হন তিনি। পরের ওভারে হেরাথের বলে বোল্ড হন তাইজুল ইসলাম।
শেষদিকে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়েন মুস্তাফিজুর রহমান। মাহমুদুল্লাহ তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি। তার পাশাপাশি সপ্তম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দুই হাজার ক্লাবে পৌঁছান তিনি।
দলীয় ৫১৩ রানে লাকমালের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন ২১ বলে ৮ রান করা মুস্তাফিজ। একটি ছক্কা হাঁকান এই পেসার। তবে ১৩৪ বলে ৮৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক। ৭টি চার ও দুটি ছয় দিয়ে েইনিংসটি সাজান দলের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
এর আগে প্রথম দিনে দিলুরুয়ান পেরারার বলে ৫৩ বলে ৫২ রানে আউট হন ওপেনার তামিম ইকবাল। ৭৫ বলে ৪০ রান করে ফেরেন আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস। তার উইকেটটি তুলে নেন সান্দাকান।
অন্যদিকে সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি থামান লাকমাল। ১৯২ বলে ৯২ রান করে আউট হন তিনি। লাকমালের ওই ওভারের পরের বলেই কোনো রান না করেই ফিরে যান লিটন দাস।
ওয়াই/এসএস
মন্তব্য করুন