• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

রিভার্স সুইং নিয়ে ফিরছেন রাজু

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৯ জানুয়ারি ২০১৮, ২২:৩৫

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১২ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল পেস বোলিং অলরাউন্ডার আবুল হাসান রাজুর। অভিষেকের পর খেলেছেন ৬টি ম্যাচ। কিন্তু একটি উইকেটের দেখাও তিনি পাননি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবার সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলেছেন। আর এ দলটির মেন্টর ছিলেন পাকিস্তানের কিংদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনিস। তাই বিপিএল জুড়েই এ কিংবদন্তির ছোঁয়া পেয়েছেন রাজু। আর তাতেই নিজেকে আরো শাণিত করতে পেরেছেন বলেও বিশ্বাস যুবা পেসারের। বিশেষ করে ওয়াকারের সেরা অস্ত্র রিভার্স সুইং নিয়ে বেশি কাজ করেছেন তিনি। এবার মাঠে সেটা প্রয়োগ করেই নিজেকে প্রমাণ করতে চান রাজু।

২০১৫ সালের ১৭ এপ্রিল ঘরের মাঠ মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন রাজু। এরপর আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে। মাঝে প্রায় প্রতিবারই প্রাথমিক দলে থাকলেও মূল দলে জায়গা হয়নি। দীর্ঘদিন পর ফিরে এসেছেন মূল দলে। মূলত ফেরার চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন। আর বিপিএলে পারফর্ম করেই এগিয়ে গিয়েছেন। বুলাওয়া এক্সপ্রেস নামে একসময় পরিচিত সাবেক পেসার ও পাকিস্তানের সাবেক কোচ ওয়াকারের সঙ্গে কাজ করে বেশ উন্নতিও করেছেন রাজু। এবার জাতীয় দলের হয়ে তা দেখানোর ব্যাপারে দারুণ আত্মবিশ্বাসী এ পেসার।

নিজের সেরা প্রসঙ্গে রাজু বলেন, বিপিএল আসলে এই জায়গায় আসার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল আমার কাছে। ওয়াকার ভাই ছিল আমাদের দলে। আমার অনেক আত্মবিশ্বাস ছিল যে ওয়াকার ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করে স্কিলগুলোর উন্নতি করতে পারব। আমি যেটা পারসোনালি অনূভব করি, আমার রিভার্স সুইংটা নিয়ে অনেক বেশি কাজ করেছি ওয়াকার ভাইয়ের সঙ্গে। স্লো বল নিয়েও। আমি আত্মবিশ্বাসী। এখানে প্রমাণ করার সময় আসছে। আমি প্রমাণ করতে পারছি, সবচেয়ে বড় জিনিস হলো আমি আত্মবিশ্বাসী।

অভিষেক বোলার হিসেবে হলেও অভিষেকেই ব্যাট হাতে গড়েছিলেন অনন্য কীর্তি। খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টেই ১০ নম্বরে নেমে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেন। তবে বল হাতে বরাবরই বিবর্ণ ছিলেন। ৩ টেস্টে উইকেট মাত্র ৩টি। আর ৬টি ওয়ানডে খেলে এখনো কোনো উইকেটের দেখা পাননি তিনি। শুধু তাই নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও ব্যাটিংয়ে তার উন্নতি দেখা যাচ্ছে নিয়মিতই। কিন্তু সে অর্থে বোলিংয়ের উন্নতি ততটা দৃশ্যমান নয়।