ক্র্যাচই এখন সঙ্গী মারকুটে ব্যাটসম্যানের
খেলোয়াড়ি জীবনে উপাধি জুটেছিল 'মাতারা হারিকেন'। তার ঠ্যাঙানিতে চোখে সর্ষে ফুল দেখত বিশ্বের বাঘা বাঘা সব বোলার। হাত ঘুরাতেও পারতেন বেশ ভালোই। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক তিনি। সেই সানাথ জয়াসুরিয়াই এখন আর নিজের পায় হাঁটতে পারেন না! দরকার হয় ক্র্যাচের! এখন পরিস্থিতি যা তাতে অস্ত্রোপচার ছাড়া স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারবেন না লংকান সাবেক এ অধিনায়ক।
অবসরের পর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেই বিভিন্ন সময় ছিলেন জয়াসুরিয়া। নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ৪৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেট কিংবদন্তি এখন হাঁটুর সমস্যায় আক্রান্ত। সমস্যা এতটাই জটিল যে, ক্র্যাচ ছাড়া তিনি চলতে পারেন না। অস্ত্রোপচার ছাড়া সুস্থ হওয়ার উপায় নেই। অস্ত্রোপচারের জন্য শীঘ্রই মেলবোর্নে উড়ে যাবেন সাবেক এই অধিনায়ক।
জানা গেছে, অস্ত্রোপচারের পর জয়াসুরিয়াকে বেশ কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখবেন চিকিৎসকরা। সব মিলিয়ে তার সুস্থ হতে একমাসের বেশি সময় লেগে যাবে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার খারাপ পারফরম্যান্সের পর লঙ্কান বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেন 'মাতারা হারিকেন'।
জয়সুরিয়া হচ্ছেন আন্তর্জাতিক একদিনের ক্রিকেটের একমাত্র খেলোয়াড় যিনি ব্যাট হাতে ১৩ হাজার ৪৩০ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৩২৩ উইকেট শিকার করেন। ক্রিকেটের ২২ গজ কাঁপানো এশিয়ার এই তারকা ক্রিকেটার এখন নিজেই কাঁপছেন হাঁটুব্যথায়। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট খেলার পর অবসরে যান লংকান এই অলরাউন্ডার। ক্রিকেটকে গুডবাই জানানোর আগেই রাজনীতিতে জড়িয়ে যান জয়সুরিয়া। ২০১০ সালে শ্রীলংকার সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মাতারা জেলা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।