মাশরাফির চতুর্থ না সাকিবের দ্বিতীয়?
জাতীয় দলের হয়ে একসঙ্গে অসংখ্য স্মরণীয় ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা-সাকিব আল হাসান। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন জয় ছিনিয়ে আনতে। এবার কি না তারাই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী? বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-(বিপিএল) ২০১৭ আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসকে সাকিব এবং রংপুর রাইডার্সকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি। দেশের জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগের পঞ্চম আসরের ফাইনালে আজ একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী তারা। শিরোপার লড়াইয়ে ম্যাশের চার নাকি সাকিবের টানা দুই এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।
এর আগে চারবার মাঠে গড়িয়েছে বিপিএল। তিনবার শিরোপা ছুঁয়েছেন মাশরাফি। এর মধ্যে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে দুইবার এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে একবার। একবার তা বগলদাবা করেছেন সাকিব।
বিপিএলের প্রথম আসর মাঠে গড়ায় ২০১২ সালে। মাশরাফির নেতৃত্বে ওই আসরের ফাইনালে বরিশাল বার্নাসকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে ঢাকা। পরের আসরের ফাইনালে চিটাগাং কিংসকে পরাজিত করে রাজধানীর দলটিকে শিরোপা এনে দেন তিনি। ২০১৫ সালে তৃতীয় আসরে নবাগত দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ডেরায় ভেড়েন নড়াইল এক্সপ্রেস। সেবার তো ইতিহাসই রচনা করেন ডানহাতি পেসার। একরকম মাঠে দাঁড়িয়ে পুরো টর্নামেন্টে দাপটের সঙ্গে খেলে জীর্ণশীর্ণ দলকে ট্রফি পাইয়ে দেন জিয়নকাঠি। এবার দিয়ে পাঁচ আসরের চারবারই ফাইনালে খেলছেন অভিজ্ঞ অধিনায়ক। ভক্ত-সমর্থকদের চাওয়া এবারো তার হাতেই উঠুক শিরোপা।
‘বিপিএলে শিরোপা জিততে চাও, মাশরাফিকে দলে ভেড়াও।’ হয়তো এ কথা মনে রেখেই এবার তাকে দলে ভেড়ায় রংপুর। হিসাবে যে উত্তরবঙ্গের দলটি বিন্দুমাত্র ভুল করেনি টুর্নামেন্টের পরতে পরতে সেই প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। দূরদর্শী অধিনায়কত্বের পাশাপাশি ব্যাটে-বলে অনন্য নৈপুণ্য প্রদর্শন দলকে তুলেছেন ফাইনালে। ১২ ম্যাচে ৬ জয়ে টেনেহিঁচড়ে শেষ চারে জায়গা পাওয়া রংপুরই এখন শিরোপার বড় দাবিদার।