• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আল-আমিন ও মালিকে দিশেহারা খুলনা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৮ নভেম্বর ২০১৭, ২০:০৩

এ কোন খুলনা? জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কিংবা টিভির সামনে বসে সকলেই অবাক হয়ে যাচ্ছিলেন। ফিরে খুঁজছিলেন উড়তে থাকা খুলনাকে। যে খুলনা টাইটানস হাঁটি হাঁটি পা পা করে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে; সেই খুলনাকে নিয়ে আজ ছেলে খেলা খেলল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বোলাররা!

নতুন বলে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক ধসিয়ে দিলেন খুলনার টপ অর্ডার। এরপর মাঝে ও শেষের আঘাত বাংলাদেশি পেসার আল-আমিন হোসেনের। তাতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লো খুলনা। ৭৯ রানে নেই ৮ উইকেট। তবু শেষের ব্যাটসম্যানদের লড়াইয়ে মোটামুটি সম্মানজনক একটা স্কোর। তবে সেটি বিপিএলে, বিশেষ করে চট্টগ্রামের উইকেটে জেতার মতো তো নয়ই। তামিম ইকবালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে জয়ে ফিরতে করতে হবে মাত্র ১১২ রান। দাপুটে খুলনা চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় অল আউট হয়েছে মাত্র ১৯.২ ওভারে ১১১ রানে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিনি টস জিতে একটু চমক জাগানো সিদ্ধান্তই নিলেন। সেই সিদ্ধান্ত এখন অবশ্যই বুমেরাং হিসেবে প্রমাণিত। ব্যাটসম্যানরা কুমিল্লার বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। এখন লড়াই মূলত শীর্ষ চারের জায়গা নিশ্চিত করার। দিনের প্রথম ম্যাচে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল ৪ উইকেটে সিলেট সিক্সার্সকে হারিয়ে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে প্লে অফের দিকে। পয়েন্ট টেবিলে তারা চতুর্থ, ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে। কুমিল্লা ৭ ম্যাচেই ১০ পয়েন্ট নিয়ে খেলতে নামছে অষ্টম ম্যাচটি। আর খুলনা গতরাতে আরো একটি অসাধারণ জয়ে ৯ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফের জায়গাটা প্রায় নিশ্চিত করেই বসে আছে। তবে চট্টগ্রামের ছেলে তামিমের সামনে চ্যালেঞ্জ দলকে জয়ে ফেরানো। সেই চ্যালেঞ্জের আধেক কাজটা বুঝি হয়েই গেলো ম্যাচের চার ভাগের এক ভাগ না যেতেই!

অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক আসলে পথ দেখিয়েছেন কুমিল্লার বোলারদের। ম্যাচের চতুর্থ বলে শিকার করেছেন আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত ব্যাট করা তরুণ নাজমুল হোসেন শান্তকে (৮)। অন্য ওপেনার রাইলি রুশোকে খালিহাতে ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান। গেল রাতের হাফ সেঞ্চুরিয়ান টিনএজার আফিফ হোসেন ধ্রুব (৮) এবার কিছুই করতে পারলেন না। আফিফকে ফেরান শোয়েব মালিক। দুর্দান্ত ব্যাট চালিয়ে ম্যাচ জেতানো নিকোলাস পুরান (০) রানে ফেরেন মালিকের শিকার হয়ে।

অধিনায়ক মাহমুদল্লাহ ১২ বলে ১৪ করে আউট আগের ম্যাচে এক ওভারে ৩২ রান দিয়ে হতভাগা বোলারে পরিণত হওয়া পেসার সাইফুদ্দিনের বলে। নিশ্চয়ই এমন উইকেট তার মনোবল ফেরাবে। মাঝে ২১ রানের মধ্যে আর উইকেট পড়েনি। আশা ছিল খুলনার ইনিংস মেরামত করে লড়ার পুঁজি গড়ার। আরিফুল হক (২৪) এক প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু অন্যপ্রান্ত থেকে ১৩ রানের মধ্যে শেষ দুই বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান কার্লোস ব্র্যাথওয়েট (১৩) ও আর্চারকে তুলে নিলেন আল-আমিন হোসেন। টেলএন্ডাররা আর কি করতে পারেন?

৭৯ রানের সময় আল-আমিনের তৃতীয় শিকার হন আরিফুল। তার সুখ এইটুকু যে ২৪ বলের ওই ২৪ রানই খুলনার ইনিংসের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। তারপরও খুলনার ইনিংস ১০০ পেরিয়েছে ৯ ও ১০ নম্বর ব্যাটার কাইল অ্যাবট ও শফিউল ইসলাম সমান ১৬ রান করে দিয়ে যাওয়ায়। শুরুর ধ্বংসযজ্ঞে শোয়েব মালিকের ওই ৩ উইকেটই। আর বল নিতে হয়নি। আল-আমিনের ৩ উইকেট ৩ ওভারে ১৯ রান খরচায়। বোলাররা কুমিল্লার জয়ে ফেরাটা সহজ করে দিল। দেখার বিষয় কিন্তু খুলনা কি এই পুঁজি নিয়ে লড়তে পারবে?

এএ/ওয়াই

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শেষ সময়ের রোমাঞ্চে ফর্টিসকে রুখে দিলো আবাহনী
বিপিএল ব্যর্থতার পর ডিপিএলে উড়ন্ত সূচনা মাশরাফীর
বিপিএলের দল বাড়ানো নিয়ে মুখ খুললেন পাপন
ডিপিএল শুরু ১১ মার্চ, পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ
X
Fresh