সুয়ারেজের গোলখরা কাটানো ম্যাচে বার্সার জয়
এই মৌসুমে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। গত মৌসুমে নেইমার-সুয়ারেজ-মেসি ত্রয়ীতে অতিষ্ঠ ছিল বিপক্ষ দলের খেলোয়াড় কিংবা কোচরা। নেইমার বার্সা ছাড়ার পর ছায়া হয়ে ছিলেন সুয়ারেজ। দুর্দান্ত গতিতে ছুটছেন লিওনেল মেসি।
বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর সবচেয়ে দীর্ঘ গোলখরা ফুরাল উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারের। সব প্রতিযোগিতা মিলে ৪৭৯ মিনিট পর পেলেন আরাধ্য গোল। আর এতে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান আরো মজবুত করলো বার্সা।
সুয়ারেজ গোলপোস্টের সামনে ব্যর্থ এনিয়ে হতাশায় ডুবে ছিলেন তার ভক্তরা। দুই দলের লড়াইয়ে গোলমুখে প্রথম শট নেয় বার্সেলোনা। ৭ মিনিটে ডানদিক থেকে ব্যাকপোস্টে পাকো অ্যালকাসেরের পাস পান সুয়ারেস। তার ডানপায়ের শট ব্যর্থ হয় ডিফেন্ডারদের প্রতিরোধে।
২০ মিনিটে নর্ডিন আম্রাব্যাটের চমৎকার প্রচেষ্টা বার্সার রক্ষণে দাঁড়ানো ইভান রাকিতিচ ও জেরার্ড পিকেকে ফাঁকি দিলেও বল চলে যায় বেশ উঁচু দিয়ে। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে সফরকারীরা। ২৪ মিনিটে লিওনেল মেসি পান তার প্রথম সুযোগ। কিন্তু তার ডানপায়ের শট বাঁক খেয়ে গোলপোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়।
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে ২৬ মিনিটে বার্সার গোলমুখে আরেকটি শট নেয় লেগানেস। আম্রাব্যাটের পাস থেকে গ্র্যাব্রিয়েল পায়ার্সের বাঁপায়ের শট চলে যায় লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে।
নিজেদের মাঠে বার্সেলোনাকে ছেড়ে কথা বলেনি মাদ্রিদের ক্লাবটি। ম্যাচের শুরু থেকে বার্সেলোনার পাসিং ফুটবলের পাল্টা দিয়েছে কাউন্টার অ্যাটাক দিয়ে। কিন্তু আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের সিদ্ধান্তহীনতা কিংবা ভুল সিদ্ধান্তের সঙ্গে বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগানের দারুণ রিফ্লেক্স বারবার বাঁচিয়ে দিয়েছে বার্সেলোনাকে।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে এগিয়ে যায় কাতালান ক্লাব। ডান প্রান্তে পাকো আলকাসেরের শট ঠেকাতে গিয়ে ভুল করে ফেলেন লেগানেস গোলরক্ষক। ফিরতি বল সামনে পেয়ে কোনো ভুল করেননি সুয়ারেজ। এর আগে পরে নিষ্প্রভ সুয়ারেজই এগিয়ে দিলেন বার্সাকে (১-০)।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই গল্প। বল নিয়ন্ত্রণে পুরোনো কিংবা ডিফেন্ডারদের ছিটকে দেওয়া কোনো দৌড় দেখাতে না পারলেও ঠিকই দলের জয় নিশ্চিত করে দিলেন সুয়ারেজ। ৬০ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে আবারও আলকাসেরের শট। সেটা ফিরিয়ে দেন কুয়েলার। কিন্তু সে বল আবারও এসে পড়ে সুয়ারেজের কাছে। আবারও একটি সুযোগসন্ধানী গোল সুয়ারেজের (২-০)
৭৫ মিনিটে আলেইশ ভিদাল পরিষ্কার সুযোগ নষ্ট করেন। আর ৮৮ মিনিটে এমনই এক ফিরতি বলে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ পেয়েছিলেন সুয়ারেজ। কিন্তু এবার প্রথম শটটা মেসি নিয়েছিলেন বলেই কিনা আর গোল করা হয়নি তাঁর! পাল্টা আক্রমণে ভালো সুযোগ পেয়েও একটি গোল শোধ করতে পারেনি লেগানেস। ৯০ মিনিটে আরেকটি জটলা থেকে ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছেন বদলি হিসেবে নামা পাউলিনহো (৩-০)।
এমন জয়ের পরও দুশ্চিন্তায় বার্সা কোচ। এ ম্যাচে পঞ্চম হলুদ কার্ড হয়ে যাওয়ায়, পরের ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে নামতে পারবেন না জেরার্ড পিকে।
এএ
মন্তব্য করুন