ইমরুল-স্যামুয়েলসে কুমিল্লার ফাইটিং স্কোর
ইমরুল কায়েস ও স্যামুয়েলসের ব্যাটিং দৃঢ়তায় শক্তিশালী রংপুরের সামনে ফাইটিং স্কোর দাঁড় করিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
এদিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাস দেখেশুনে খেলতে থাকেন। দলীয় ২৩ রানে কুমিল্লা শিবিরে আঘাত হানেন পেসার রুবেল হোসেন। ম্যাককালামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম (২১)।
তামিম আউট হওয়ার পর রুবেল হোসেনের চতুর্থ ওভারের শেষ বল ইমরুল ব্যাটে-বলে ভালোভাবে সমন্বয় করতে পারেননি। তবুও ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারি পেয়ে যান ইমরুল। চার মেরে রানের খাতা খোলা পর ইমরুল-লিটন ২২ গজের মাঝে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। ঠিক এমন সময় ইমরুলের দিকে তেড়ে যান রুবেল। কুমিল্লার বাঁহাতি ওপেনার ইমরুলকে শুরুতে ঠিক কী বলেছেন রুবেল, এটা জানা যায়নি। কিন্তু দু’জনের মধ্যে যে তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে এটা পরিষ্কার। শেষমেশ আম্পায়ারের হস্তক্ষেপে থামেন ইমরুল-রুবেল। দলীয় ৪৭ রানে লিটন দাস (১১) অধিনায়ক মাশরাফির প্রথম শিকার হন।
ইমরুল-বাটলারের ব্যাটে কুমিল্লা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেই দ্বিতীয়বার আঘাত হানেন মাশরাফি। তার বলে মাত্র ১ রানে এলবি হয়ে যান বাটলার। কুমিল্লার দূর্গে বড় আঘাতটি হানেন থিসারা পেরেরা।
টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ইমরুল কায়েসকে ৪৭ রানে বোল্ড করেন তিনি। ৩২ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ওভার বাউন্ডারিতে ৪৭ রান করেছিলেন ইমরুল।
কুমিল্লার পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে শোয়েব মালিকের (৯) রান-আউটে। এতে অবদান ছিল থিসারা পেরেরার। এরপর ৩৪ বলে ৪১ রান করা স্যামুয়েলসকে ফিরিয়ে ম্যাচের রাশ টেনে ধরেন পেরেরা। শেষ পর্যন্ত সাইফ উদ্দিনের ১১ বলে ১৬ রানের ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তুলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
রংপুরের পক্ষে মাশরাফি ও পেরেরা ২টি করে এবং রুবেল হোসেন ১টি উইকেট লাভ করেন।
এএ
মন্তব্য করুন