ভারতের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে সেমিতে বাংলাদেশ
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের জয়রথ ছুটছেই। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে দাপুটে জয় তুলে নেয় যুবারা। দ্বিতীয় ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ২৬২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় তারা। আর তৃতীয় ম্যাচে ভারতকে পাত্তাই দিল না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৮ উইকেটে ম্যাচটি জিতেছে সাইফ বাহিনী।
এ হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজেছে ভারতের। আর ‘এ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার সকালে কুয়ালালামপুরে বৃষ্টি বাগড়া দেয়। এতে খেলা মাঠে গড়াতে বিলম্ব হয়। পরে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে ৩২ ওভারে নেমে আসে।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ভারতের দেয়া ১৮৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করেন পিনাক ঘোষ-নাঈম শেখ। উদ্বোধনী জুটিতেই তারা তুলে ফেলেন ৮২ রান। এতে জয়ের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। পরে মন্দ্বীপ সিং জোড়া আঘাত হানলেও জয় তুলে নিতে বেগ পেতে হয়নি যুবাদের।
এরপর পিনাক ও গেলো ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তৌহিদ হৃদয়ের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে বাংলাদেশ। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৮৩ রান। এতে ২৪ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয় তাদের। পিনাক ৮১ ও হৃদয় ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে রয়েল সেলানগর ক্লাব মাঠে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৩২ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে ভারতীয় যুবারা। প্রথম ৯ ব্যাটসম্যানের ৭ জনই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেন। তবে কেউই অর্ধশতক ছুঁতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন সালমান খান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আনুজ রাওয়াতের ৩৪।
৪৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার রবিউল হক। নাঈম হাসান ও আফিফ হোসেন নেন ২টি করে উইকেট।
বৃহস্পতিবার প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। গেলো বছর যুব এশিয়া কাপেও সেমিফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। তবে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় তাদের। এবার সেই বৈতরণী যুবারা পার হতে পারে কি না তাই দেখার বিষয়।
ডিএইচ
মন্তব্য করুন