তরুণরা কোহলির সবই নেবে, শুধু একটি ছাড়া...
ক্রিকেট ইতিহাসে অতি প্রাতঃস্মরণীয় নাম অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। তিনি ছিলেন পুরোদস্তুর উইকেটকিপার। তবে মূলত বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের জন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন এ অজি ক্রিকেটার। তিনিই প্রথম দেখিয়েছিলেন, গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছন সামলানোর পাশাপাশি ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে কিভাবে প্রতিপক্ষ দলের বোলারদের কচুকাটা করা যায়। উইকেটকিপার হয়েও ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হওয়া যায় ম্যাচ উইনার। ক্যারিয়ারে অসংখ্যবার অনবদ্য পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি পেয়ে হয়েছেন সংবাদের শিরোনাম। ফের শিরোনাম হলেন তিনি। এবার ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির সম্পর্কে মন্তব্য করে খবরে এলেন অজি কিংবদন্তি।
সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় বিরাট কোহলি। সেরা অধিনায়কও। এতে বিন্দুমাত্র কারো সংশয় থাকার কথা নয়। সন্দেহ নেই গিলক্রিস্টের। তবে ভারতীয় অধিনায়কের একটি বিষয় ভীষণ দৃষ্টিকটু লাগে এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের।
গিলি বলেন, কোহলি দারুণ ধারাবাহিক। বর্তমানে সে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদণ্ড, প্রাণ। গেলো কয়েক বছর ধরেই ও অসাধারণ ক্রিকেটশৈলী প্রদর্শন করে আসছে। ব্যাটে যেমন রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে রেকর্ড ভাঙছে-গড়ছে, তেমন অধিনায়ক হিসেবেও কীর্তি গড়ে চলেছে। এসবই প্রশংসার যোগ্য। তবে তার ব্যাটিং-নেতৃত্বের টেকনিক বাদে আচার-আচরণটা তরুণ প্রজন্মের অতটা অনুকরণ করা ঠিক হবে না।
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, মাঠে কোহলির আগ্রাসন দৃষ্টিকটু। মাঠের বাইরেও তার কথাবার্তা প্রতিপক্ষের জন্য হুমকিস্বরূপ। সে জিনিয়াস। এরই মধ্যে ও গোটা ক্রিকেট বিশ্বে আইডল বনে গেছে। এখন তাকে তরুণ ক্রিকেটাররা অনুসরণ করবে-এটাই স্বাভাবিক। তবে খটকাটা এখানেই। কারণ, একজন আদর্শ ক্রিকেটারের আচরণ এরকম হয় না। হয়তো সে সাফল্য পাওয়ার জন্যই এরকম করে। কিন্তু বেশিরভাগই এমনটি করে সাফল্য পায় না। তাই তরুণদের তাকে অনুকরণ করা খুব একটা যুক্তিযুক্ত হবে না।
গিলক্রিস্ট মনে করেন, প্রতিটি খেলোয়াড়ের আগ্রাসন ভেতর থেকে আসা উচিত। বিরাট সেরকমই ব্যক্তি। এটি তার নেতৃত্ব ও সাফল্য অর্জনের ইচ্ছাকেও প্রতিফলিত করে। এভাবেই সে সাফল্য পাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, কোহলি একজনই। ও যেভাবে সাফল্য পাচ্ছে সেভাবে অন্যরা নাও পেতে পারে।
ভারতীয় রান মেশিনকে কিছু পরামর্শও দেন এ কিংবদন্তি। তিনি বলেন, ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে কোহলির এমন অভ্যাস ও আচরণ ত্যাগ করা উচিত। কারণ, এসব মাঠে অস্বস্তিকর পরিবেশের জন্ম দিতে পারে। সতীর্থদের মধ্যে এর ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে। প্রতিপক্ষের ব্যাপক সমস্যা হবে। খেলায় বিঘ্ন ঘটবে।
কোহলির নেতৃত্বে বর্তমানে টেস্ট র্যাংকিংয়ে শীর্ষে আছে ভারত। জিতেছে টানা সাত ওয়ানডে সিরিজ। ব্যাট হাতে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান হয়েছেন। এসবই প্রমাণ করে ২৮ বছর বয়সী ক্রিকেটার কতটা দুর্দান্তভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন।
ডিএইচ
মন্তব্য করুন