• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ওয়ানডেতেও ধবলধোলাই বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক

  ২২ অক্টোবর ২০১৭, ২১:৩৭

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরটা দুঃস্বপ্নের মতো যাচ্ছে বাংলাদেশের। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে প্রোটিয়াদের কাছে ধবলধোলাই হয়েছিল টাইগারররা। এরপর মাশরাফিদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে সিরিজ ঘিরে অনেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন। তবে ফরম্যাট বদলালেও পারফরম্যান্স বদলায়নি সফরকারীদের। ব্যাটে-বলে ছ্ন্নছাড়া পারফরম করে চমক দেখিয়েছেন তারা। ফলে যা ঘটার কথা তাই ঘটল। প্রথম দুই ম্যাচে ১০ উইকেট ও ১০৪ রানে হারের পর শেষ ওয়ানডেতে ২০০ রানের লজ্জার হারে ধবলধোলাই হলো বাংলাদেশ।

৩৭০ রানের পাহাড়সমান লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মাশরাফি বাহিনী। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ডেন প্যাটারসনের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফ ফারহান বেহারদিনের হাতে ক্যাচ দেন ইমরুল (১)। এর পরই প্যাটারসনের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন লিটন দাস (৬ )। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সৌম্য। তবে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। পঞ্চম ওভারে কাগিসো রাবাদার বল ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান (৮)। এর সঙ্গে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেই বিপদের মধ্যে রাবাদার বলে আন্দিলে ফিকোয়াওর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুশফিক (৮)। এতে মহাবিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা।

এই বিপর্যয়ের মুখে শক্ত হাতে দলকে টানতে থাকেন সাকিব আল হাসান ও সাব্বির রহমান। দলের বিপর্যয়ে ভালোই ব্যাট করছিলেন তারা। তবে হঠাৎই থেমে যান সাকিব। ব্যক্তিগত ৬৩ রান করে মার্করামের শিকার হয়ে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এরপর আশার প্রদীপ হয়ে ছিলেন সাব্বির রহমান। সাকিব ফেরার পর পরই পথ হারান এই হার্ডহিটারও (৩৯)। সাব্বির ফিরলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১৬৯ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় টাইগার ইনিংস।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে গুড়িয়ে দেন ডোয়াইন প্যাটারসন। ২টি করে উইকেট তুলে নিয়ে তাতে সামিল হন ইমরান তাহির ও এইডেন মার্করাম। আর ১টি করে উইকেট নিয়ে সহযোদ্ধার ভূমিকা পালন করেন কাগিসো রাবাদা, আন্দিলে ফিকোয়াও ও উইলিয়াম মুল্ডার।

এর আগে ইস্ট লন্ডনে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা। হাশিম আমলা বিশ্রামে থাকায় কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ইনিংস সূচনা করতে নামেন টেন্ডা বাভুমা। ১ বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামলেও তার ব্যাটিং দেখে লেশমাত্র তা বোঝা যায়নি। ডি ককের সঙ্গে উড়ন্ত সূচনা করেন তিনি। তাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে এই ম্যাচেও শুরুতে উইকেটহীন থাকে বাংলাদেশ। দলীয় ১১৯ রানে বাভুমাকে (৪৮) লং অনে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে দলকে কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রো এনে দেন মিরাজ। এর কিছুক্ষণ পর বিপজ্জনক ডি কককে কট অ্যান্ড বোল্ড করে ফেরান এই অফস্পিনার।

পর পর দুই উইকেট খোয়ানোয় রানের চাকা কম গড়ার কথা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে মাঠে ঘটে ঠিক উল্টোটা। নেমেই টাইগার বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালান এইডেন মার্করাম। রানের নহর বয় ডু প্লেসিসের ব্যাটেও। তাদের ব্যাটে উল্কার গতিতে ছুটে চলে প্রোটিয়ারা। যা ছিল তাসকিনদের জন্য দুঃস্বপ্ন।

ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎই শারীরিক ব্যথা অনুভব করেন ডু প্লেসিস। শেষ পর্যন্ত ফিজিওর কাঁধে চড়ে মাঠ ছাড়েন প্রোটিয়া অধিনায়ক (৯১)। সহযোদ্ধার এমন দশার পর টিকতে পারেননি এইডেন মার্করামও (৬৬)। দলীয় ২৮৯ রানে ইমরুলের অসাধারণ থ্রোতে রানআউট হয়ে ফেরেন তিনি। বাংলাদেশও পায় একটু স্বস্তি। তবে সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ থাকেনি। ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন গেলো ম্যাচে টাইগার বোলারদের চোখ ও নাকের জল এক করে দেয়া এবি ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু সেই ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ২০ রান করে রুবেলের শিকার হয়ে ফেরেন ৩৬০ ডিগ্রী খ্যাত ব্যাটসম্যান।

ভিলিয়ার্সের বিদায়ের পর চটজলদি ফিরে যান প্রোটিয়া লেট অর্ডারের আরো দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৩২৯ রানে তাসকিনের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন উইলিয়াম মুল্ডার (২)। এর কিছুক্ষণ পরই মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করে আন্দিলে ফিকোয়াওকে (৫) ফেরান এই ডানহাতি পেসার। তবে একপ্রান্তে শিকড় গেড়ে থেকে যান বেহারদিন। শেষদিকে কাগিসো রাবাদাকে নিয়ে যতটা সম্ভব দলের রান বাড়িয়ে চলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ৩৬৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এদিন বাংলাদেশের সেরা বোলার তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটসম্যানদের টর্নেডোর মাঝে তারা তুলে নেন ২টি করে উইকেট।

ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নির্বাচনে হেরে যা বললেন নিপুণ
মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা
একাধিক পদে চা বোর্ডে নিয়োগ
মিশা-ডিপজলের কাছে কত ভোটে হারলেন কলি-নিপুণ
X
Fresh