• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সাজঘরে সাকিব, চাপে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক

  ১৮ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৩৯

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে জিততে দরকার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের লম্বা ইনিংস। সেই কক্ষপথেই ছিলেন ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিম। তাদের ব্যাটে লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে আশা জাগিয়ে ফেরেন ইমরুল (৬৮)। সেই আশায় জ্বালানি যোগাতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। দিতে পারলেন না আস্থার প্রতিদান। দলীয় ১৭১ রানে ইমরান তাহিরের বলে ডি ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরই সঙ্গে চাপে পড়ে সফরকারীরা।

শেষ খবর পর্যন্ত ৩১ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬৪ রান। মুশফিক ৫৯ ও মাহমুদুল্লাহ ২ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন।

পাহাড় সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। সতর্ক সূচনা করেন তামিম ও ইমরুল। খেলছিলেন দেখেশুনে। তবে ভালো খেলতে খেলতে থেমে যান ইনজুরি থেকে ফেরা তামিম। দলীয় ৪৪ রানে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফেরেন ড্যাশিং ওপেনার (২৩)।

তামিম ফিরলেও স্কোর বোর্ডে রান যোগ হচ্ছিল। ইমরুলকে যথার্থই সঙ্গ দিচ্ছিলেন ওয়ানডাউনে নামা লিটন দাস। কিন্তু হঠাৎই খেই হারিয়ে ফেলেন তিনি। দলীয় ৬৯ রানে আন্দিলে ফিকোয়াওর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান (১৪)।

স্কোর বোর্ডে ৬৯ রান তুলতেই তামিম-লিটনকে হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ইমরুল। তাকে যথার্থ সমর্থন দেন গেল ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক। প্রথমে তারা ইনিংস মেরামত করেন। পরে হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেন। তাতে ১৮ ওভারে শতরান পেরিয়ে যায় টাইগাররা। দুজনে এগুচ্ছিলেনও বেশ। তাদের ব্যাটে লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে আশা জাগিয়ে ফেরেন ইমরুল। দলীয় ১৬২ রানে ইমরান তাহিরের বলে ডি ভিলিয়ার্সে হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার (৬৮)।

এর আগে টস জিতে প্রথমে বোলিং নেয় বাংলাদেশ। আগের ক’দিনের বৃষ্টিতে শুরুতে উইকেট কিছুটা আর্দ্র ও মন্থর থাকায় সতর্ক সূচনা করেন হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক। নতুন বলে বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন মাশরাফি ও তাসকিন। তাদের বল দেখে শুনে মোকাবেলা করেন দুই প্রোটিয়া উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

ধীরে ধীরে রূদ্রমূর্তি ধারণ করতে থাকে আমলা ও ডি ককের জুটি। চোখ রাঙাতে থাকে টাইগার বোলারদের ওপর। তবে তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান সাকিব আল হাসান। দলীয় ৯০ রানে ডি কককে (৪৬) ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন তিনি। প্রথম উইকেট পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হলেও দ্বিতীয়টি আসে দ্রুত। একই ওভারে ডু প্লেসিসকে (০) ক্লিন বোল্ড করে ফেরান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

জোড়া আঘাতের পর একটু থমকে যাওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে ঘটে ঠিক উল্টোটা। ক্রিজে এসেই তাণ্ডব চালান এবি ডি ভিলিয়ার্স। প্রায় চার মাস পর নামলেও তার ব্যাটিং দেখে একবারও মনে হয়নি, এত দিন পর ২২ গজের ক্রিজে নামেন তিনি। অপর প্রান্তে ঠাণ্ডা মাথায় খেলে যান আমলা। ভিলিয়ার্সের সাহচর্যে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান। তবে তাতে বাধ সাধেন রুবেল। তার বল খোঁচা মারতে গিয়ে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ডানহাতি ওপেনার (৮৫)।

আমলা ফিরলেও ভিলিয়ার্স কম্পন থামেনি। একপ্রান্তে থেকে টাইগার বোলারদের ওপর রীতিমতো স্টিম রোলার চালান তিনি। ৩৬০ ডিগ্রি খ্যাত ব্যাটসম্যানের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয় টাইগার বোলিং আক্রমণ। দলীয় ৩৪৩ রানে রুবেলের শিকার হলে থামেন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান(১৭৬)। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

ভিলিয়ার্সের বিদায়ের পর স্কোর বোর্ডে খুব একটা রান যোগ করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে ৬ উইকেটে ৩৫৩ রান করে তারা। এদিন বাংলাদেশের সেরা বোলার রুবেল হোসেন। তিনি ঝুলিতে ভরেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। ২টি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে সিরিজের কুইজ

ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাকিবের মাঠে ফেরা নিয়ে যা জানালেন কোচ সোহেল 
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন সাকিব
ঈদের নামাজ শেষে সাকিবকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন তামিম-সাকিব-জ্যোতিরা
X
Fresh