• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রেকর্ড জুটিতে জয়ের পথে দ.আফ্রিকা

স্পোর্টস ডেস্ক

  ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৫০

চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় টেস্টে ভরাডুবির পর ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে প্রথম ওয়ানডেতে ২৭৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ। এতে দেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমী স্বপ্ন দেখেছিলেন, এবার ঘুরে দাঁড়াবে টাইগাররা। সাফল্য এনে দেবেন বোলাররা। তবে আশায় গুঁড়েবালি। একেবারে নির্বিষ বোলিং করছেন বাংলাদেশ বোলাররা। এর পুরো ফায়দা লুটছেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা- কুইন্টন ডি কক। তাদের ব্যাটে ছুটছে রানের ফোয়ারা। এ যেন রান-উৎসব।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৮ ওভারে বিনা উইকেটে ২৪৪ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরই মধ্যে দু’জনই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ডি কক ১৪০ ও আমলা ১০০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে দেশের হয়ে সেরা উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড গড়েছেন আমলা ও ডি কক। ২৭ ওভার শেষে দুজনের জুটির রান হয় ১৫৯। আগে উদ্বোধনী জুটিতে প্রোটিয়াদের রেকর্ড ছিল গ্যারি কারস্টেন ও হার্শেল গিবসের। ২০০২ সালে বেনোনিতে ১৫৫ রানের জুটি গড়েন তারা।

এর আগে কিম্বার্লির ডায়মন্ড ওভালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৭৮ রান করে বাংলাদেশ। লিটনকে নিয়ে ম্যাচের গোড়াপত্তন করতে নেমে দারুণ শুরু করেন ইমরুল। উদ্বোধনী জুটিতে করেন ৪৩ রান। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে রাবাদার বলে স্লিপে ডু প্লেসিসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন (২১)।

এরপর ওয়ানডাউনে নামা সাকিবকে নিয়ে খেলা জমানোর চেষ্টা করেন ইমরুল। তারা বেশ আশা জাগাচ্ছিল। তবে ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎই থেমে যান ইমরুল (৩১)। প্রিটোরিয়াসের বল গ্ল্যান্স করতে গিয়ে ডি কককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

ইমরুলের পর মুশফিককে নিয়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন সাকিব। তবে সেই যাত্রায় থেমে যান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার (২৯)। ইমরান তাহিরের বলে স্লিপে আমলার তালুবন্দি হয়ে ফেরেন তিনি।

সাকিব ফিরলে মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মুশফিক। তারা এগুচ্ছিলেনও বেশ। দু’জনে বাংলাদেশকে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। এরই মধ্যে ফিফটি তুলে নেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার মতো সমর্থন দিতে দিতে থেমে যান মাহমুদুল্লাহ (২৬)। দলীয় ১৯৫ রানে প্রিটোরিয়াসের বলে মিলারের হাতে ক্যাচ ফেরেন মিস্টার কুল।

মাহমুদুল্লাহর বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন সাব্বির। তবে সেই ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলীয় ২৩৭ রানে রাবাদার বলে প্যাটারসেনর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ হার্ডহিটার (১৯)।

একে একে টপ অর্ডারের সবাই বিদায় নিলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন মুশফিক। তুলে নেন লড়াকু সেঞ্চুরি। ১০৮ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেন তিনি। এটি তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। মিস্টার ডিপেন্ডেবলের শতকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল টাইগাররা।

তবে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। রান তোলার সময়ে নাসির মাঠে নেমে চেষ্টা চালালেও তা কার্যকর হয়নি। তিনি ফেরেন ১১ রান করে।

পরে মুশফিককে সমর্থন যুগিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন অভিষিক্ত সাইফউদ্দিন। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২৭৮ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। একেবারে ইনিংসের শেষ বলে থামেন সাইফউদ্দিন (১৬)। অপরপ্রান্তে ১১০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বোলিং আক্রমণের কর্ণধার রাবাদা নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন প্রিটোরিয়াস।

ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh